০২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাকৃবিতে ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদায় বাকৃবিতে ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস উদযাপন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস’ উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

 

এ উপলক্ষে সকাল ১০টায়, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালি শেষে বাকৃবি প্রাঙ্গণে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীমসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

 

বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ডাকেই বীর বাঙালি অস্ত্র ধরে নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছিল। চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে আজকের এই দিনে ময়মনসিংহ পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও সরাসরি এই আতœত্যাগে অংশ নিয়েছিল। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা সহ দেশের আপামর জনতা যারা মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল তাঁদেরকে আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কোনো শক্তির করতলে বন্দী হওয়ার জন্য নয়। এ দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি স্বাধীন থাকবে, মানুষ মুক্তভাবে কথা বলার অধিকার পাবে এবং স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবে। এ দেশে আর কোনো স্বৈরাচারী শাসক আসবে না আমি দৃঢ়ভাবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করি।

 

 

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

বাকৃবিতে ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস উদযাপন

পোষ্টের সময় : ০২:২২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস’ উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

 

এ উপলক্ষে সকাল ১০টায়, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালি শেষে বাকৃবি প্রাঙ্গণে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীমসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

 

বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ডাকেই বীর বাঙালি অস্ত্র ধরে নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছিল। চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে আজকের এই দিনে ময়মনসিংহ পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও সরাসরি এই আতœত্যাগে অংশ নিয়েছিল। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা সহ দেশের আপামর জনতা যারা মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল তাঁদেরকে আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কোনো শক্তির করতলে বন্দী হওয়ার জন্য নয়। এ দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি স্বাধীন থাকবে, মানুষ মুক্তভাবে কথা বলার অধিকার পাবে এবং স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবে। এ দেশে আর কোনো স্বৈরাচারী শাসক আসবে না আমি দৃঢ়ভাবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করি।