ময়মনসিংহ ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সয়াবিন তেলের বাড়তি দামে অস্বস্থিতে ক্রেতারা

  • কাওসার মিয়া :
  • পোষ্টের সময় : ০৪:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৭৭ ভিউ :

পণ্যের দাম বাড়াতে অন্তর্র্বতী সরকারের সময়েও পুরনো কৌশল অবলম্বন করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও সরকারকে চাপে ফেলে তারা ভোজ্য তেলের দাম লিটার প্রতি ৮ টাকা বাড়িয়ে নিয়েছেন। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বাজারে ভোজ্য তেলের বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছে, যা সম্প্রতি আরও তীব্র হয়েছে। অনেক দোকানে সয়াবিন তেলের বোতল মিললেও তা থেকে মূল্য ঘষে ফেলা হয়েছে। বেশি দামে বিক্রি নিয়ে প্রায়ই ক্রেতা-বিক্রেতা বিতক্রে জড়াচ্ছেন।

 

সরজমিন ময়মনসিংহ নতুন বাজার,মেছুয়া বাজার,সানকিপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই খবর পাওয়া গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে কয়েকদিন আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৈঠকের পর সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার। তিনি বলেন, এখন থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম হবে ১৭৫ টাকা, খোলা সয়াবিন বিক্রি হবে ১৫৭ টাকা দরে। আগে বোতলজাত এই তেলের দাম ১৬৭ টাকা এবং খোলা তেল ১৪৯ টাকা ছিল।

 

মোস্তফা হায়দার বলেন, এক্স বন্ড, ইন বন্ড ভ্যালু এবং গত এক মাসে যে এলসি খোলা হয়েছে, তার ভ্যালু- এই তিনটা ভেল্যু যোগ ও গড় করে একটা দাম ঠিক করতে হয়। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণ খরচ, বোতলজাতকরণ খরচ যোগ করতে হয়। ২০১১ সাল থেকে এই পদ্ধতি চর্চা হয়ে আসছে। এখন থেকে প্রতি মাসে সরকারের সঙ্গে বসে তেলের দাম ঠিক করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে এখন ভোজ্য তেলের দাম প্রতি টন ১২০০ ডলারের কাছাকাছি চলে গিয়েছে। এদিকে বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, খাতসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং তথ্য বিশ্লেষণ করে বাস্তবভিত্তিকভাবে বোতলজাত সয়াবিনের একটি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি, এর মাধ্যমে অনুমাণের ওপর ভিত্তি করে মজুতদারি বন্ধ হবে।
এদিকে ভোজ্য তেলের সংকটের কথা বলা হলেও দাম বাড়ার খবরে ময়মনসিংহ বিভিন্ন বাজারে দেখা মিলছে পণ্যটির।

গতকাল সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এতে পূর্বে কম দামে কেনা তেল বেশি দামে বিক্রি করে ভোক্তাদের পকেট থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা উঠিয়ে নিবে ব্যবসায়ীরা। গতকাল সন্ধ্যায় নতুনবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা বোতলজাত সয়াবিন তেল পাচ্ছিলাম না। সোমবার থেকে এই তেলের আর কোনো সংকট নেই।

ব্যাগ হাতে বাজার করতে আসা ক্রেতা মোহাম্মদ আলী বাবুল বলেন,দুই দিন পরপর জিনিসের দাম বাড়া ভালো লাগে না। সরকার সবকিছুর দাম একসাথে বাড়াই দিলেই পাড়ে। এত কষ্ট করে পুনরায় দেশ স্বাধীন করলাম বেশি দামে জিনিস খাওয়ার জন্য।এভাবে জিনিসের দাম বাড়লে সরকারের বদনাম হবে।

ট্যাগ :

সয়াবিন তেলের বাড়তি দামে অস্বস্থিতে ক্রেতারা

পোষ্টের সময় : ০৪:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

পণ্যের দাম বাড়াতে অন্তর্র্বতী সরকারের সময়েও পুরনো কৌশল অবলম্বন করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও সরকারকে চাপে ফেলে তারা ভোজ্য তেলের দাম লিটার প্রতি ৮ টাকা বাড়িয়ে নিয়েছেন। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বাজারে ভোজ্য তেলের বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছে, যা সম্প্রতি আরও তীব্র হয়েছে। অনেক দোকানে সয়াবিন তেলের বোতল মিললেও তা থেকে মূল্য ঘষে ফেলা হয়েছে। বেশি দামে বিক্রি নিয়ে প্রায়ই ক্রেতা-বিক্রেতা বিতক্রে জড়াচ্ছেন।

 

সরজমিন ময়মনসিংহ নতুন বাজার,মেছুয়া বাজার,সানকিপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই খবর পাওয়া গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে কয়েকদিন আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৈঠকের পর সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার। তিনি বলেন, এখন থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম হবে ১৭৫ টাকা, খোলা সয়াবিন বিক্রি হবে ১৫৭ টাকা দরে। আগে বোতলজাত এই তেলের দাম ১৬৭ টাকা এবং খোলা তেল ১৪৯ টাকা ছিল।

 

মোস্তফা হায়দার বলেন, এক্স বন্ড, ইন বন্ড ভ্যালু এবং গত এক মাসে যে এলসি খোলা হয়েছে, তার ভ্যালু- এই তিনটা ভেল্যু যোগ ও গড় করে একটা দাম ঠিক করতে হয়। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণ খরচ, বোতলজাতকরণ খরচ যোগ করতে হয়। ২০১১ সাল থেকে এই পদ্ধতি চর্চা হয়ে আসছে। এখন থেকে প্রতি মাসে সরকারের সঙ্গে বসে তেলের দাম ঠিক করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে এখন ভোজ্য তেলের দাম প্রতি টন ১২০০ ডলারের কাছাকাছি চলে গিয়েছে। এদিকে বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, খাতসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং তথ্য বিশ্লেষণ করে বাস্তবভিত্তিকভাবে বোতলজাত সয়াবিনের একটি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি, এর মাধ্যমে অনুমাণের ওপর ভিত্তি করে মজুতদারি বন্ধ হবে।
এদিকে ভোজ্য তেলের সংকটের কথা বলা হলেও দাম বাড়ার খবরে ময়মনসিংহ বিভিন্ন বাজারে দেখা মিলছে পণ্যটির।

গতকাল সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এতে পূর্বে কম দামে কেনা তেল বেশি দামে বিক্রি করে ভোক্তাদের পকেট থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা উঠিয়ে নিবে ব্যবসায়ীরা। গতকাল সন্ধ্যায় নতুনবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা বোতলজাত সয়াবিন তেল পাচ্ছিলাম না। সোমবার থেকে এই তেলের আর কোনো সংকট নেই।

ব্যাগ হাতে বাজার করতে আসা ক্রেতা মোহাম্মদ আলী বাবুল বলেন,দুই দিন পরপর জিনিসের দাম বাড়া ভালো লাগে না। সরকার সবকিছুর দাম একসাথে বাড়াই দিলেই পাড়ে। এত কষ্ট করে পুনরায় দেশ স্বাধীন করলাম বেশি দামে জিনিস খাওয়ার জন্য।এভাবে জিনিসের দাম বাড়লে সরকারের বদনাম হবে।