০৩:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ১৪

হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক হামলায় অন্তত ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) গাজা সিটির দারাজ অঞ্চলের একটি বাড়িতে বিমান হামলায় এক পরিবারের ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

চিকিৎসকদের মতে, ওই হামলায় বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় এবং আশপাশের ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়ায় পৃথক দুটি বিমান হামলায় আরও চারজন নিহত হয়েছেন।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি ট্যাংক নিয়ে সেনারা অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মানবিক এলাকা হিসেবে পরিচিত মাওয়াসি অঞ্চলে ট্যাংকের ভারী গোলাবর্ষণের কারণে সেখানে আশ্রয় নেওয়া বহু পরিবার উত্তর দিকে খান ইউনিস শহরের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের চলমান অভিযানে মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৫৯ জনে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলি এই হামলা প্রায় পুরো গাজার জনসংখ্যাকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং উপত্যকার বেশিরভাগ অংশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

গাজার অস্ত্রবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি ইসরায়েলি দল বর্তমানে কাতারের রাজধানী দোহায় রয়েছে। আলোচনার বিষয়ে অবগত একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অবশিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে ইসরায়েল ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে কাজ চলছে।

গাজায় অস্ত্রবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপাক্ষিক প্রচেষ্টা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গতি পেয়েছে, তবে এখনও উল্লেখযোগ্য কোনও সাফল্য অর্জিত হয়নি।

গত বছরের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রস্তাবিত একটি সমঝোতা পরিকল্পনা হামাস গ্রহণ করলেও ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ সামরিক উপস্থিতি নিয়ে নতুন শর্তের কারণে আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ১৪

পোষ্টের সময় : ০৩:০৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক হামলায় অন্তত ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) গাজা সিটির দারাজ অঞ্চলের একটি বাড়িতে বিমান হামলায় এক পরিবারের ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

চিকিৎসকদের মতে, ওই হামলায় বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় এবং আশপাশের ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়ায় পৃথক দুটি বিমান হামলায় আরও চারজন নিহত হয়েছেন।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি ট্যাংক নিয়ে সেনারা অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মানবিক এলাকা হিসেবে পরিচিত মাওয়াসি অঞ্চলে ট্যাংকের ভারী গোলাবর্ষণের কারণে সেখানে আশ্রয় নেওয়া বহু পরিবার উত্তর দিকে খান ইউনিস শহরের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের চলমান অভিযানে মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৫৯ জনে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলি এই হামলা প্রায় পুরো গাজার জনসংখ্যাকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং উপত্যকার বেশিরভাগ অংশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

গাজার অস্ত্রবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি ইসরায়েলি দল বর্তমানে কাতারের রাজধানী দোহায় রয়েছে। আলোচনার বিষয়ে অবগত একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অবশিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে ইসরায়েল ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে কাজ চলছে।

গাজায় অস্ত্রবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপাক্ষিক প্রচেষ্টা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গতি পেয়েছে, তবে এখনও উল্লেখযোগ্য কোনও সাফল্য অর্জিত হয়নি।

গত বছরের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রস্তাবিত একটি সমঝোতা পরিকল্পনা হামাস গ্রহণ করলেও ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ সামরিক উপস্থিতি নিয়ে নতুন শর্তের কারণে আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।