চীন নিজেদের পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি করছে। পাশাপাশি তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ বৃদ্ধি ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। মার্কিন গোয়েন্দা দফতরের প্রধান কার্যালয় পেন্টাগন থেকে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। বেইজিংয়ের এসব কার্যক্রম ওয়াশিংটনের সঙ্গে সংঘাত বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত বিভিন্ন রকমের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে চীন। চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে চীনের কাছে ৬০০টির বেশি কার্যকরী পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সংখ্যাটি এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, বেইজিং এখন আরও বেশি সংখ্যক ও ভিন্ন ধরনের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা অর্জন করছে। ফলে একাধিক হামলার চালানোর বিকল্প বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনাও বৃদ্ধি হয়েছে।
চীনকে তার পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মিত্রদের সুরক্ষা দিতে ও উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে ওয়াশিংটন প্রস্তুত।
প্রতিবেদনে চীনের সামরিক অগ্রগতির পাশাপাশি সামরিক বাহিনীতে দুর্নীতির প্রভাবও তুলে ধরা হয়েছে। পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) তদারককারী কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনে দুর্নীতির অভিযোগগুলো চীনের সামরিক উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও দুর্নীতির কারণে পিছিয়ে পড়ছে চীন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, চীন সর্বদা আত্মরক্ষামূলক পরমাণু কৌশল অনুসরণ করে থাকে। তারা প্রথমে পারমাণবিক হামলা না চালানোর নীতি বজায় রাখে। পেন্টাগনের প্রতিবেদনটি ‘স্নায়ুযুদ্ধের চিন্তাধারা’ ও ‘জিরো-সাম-গেমের’ মনোভাব দ্বারা পরিচালিত বলে অভিহিত করে তিনি বলেছেন, বেইজিং এই ধরনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছে।