ময়মনসিংহে ইউএসএআইডি এর অর্থায়িত প্রকল্পে ৩০ জন ছাদবাগানীদের মাঝে উন্নত মানের ফল, সবজি এবং ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার প্রকল্পটির মুখ্য গবেষক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্পটির মুখ্য গবেষক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণ অপরিহার্য। বৃক্ষরোপণের উপকারিতা ও বৃক্ষরোপণে মানুষকে উৎসাহিত করতে ময়মনসিংহ শহরে বিভিন্ন বাগানির মধ্যে উন্নত মানের চারা বিতরণের জন্য এক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ফিড দ্যা ফিউচার প্রোগ্রাম হর্টিকালচার ইনোভেশন ল্যাব ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ইউসিড্যান্ডিস এর তত্ত্বাবধানে এই উদ্যোগের লক্ষ্য সম্পর্কে অধ্যাপক আনোয়ারুল আবেদিন বলেন, ‘বাগানীদের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি বৃদ্ধি, আয় বৃদ্ধি এবং কৃষির প্রতি তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এছাড়াও তারা যাতে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে এই বিষয়ের উপরেও জোর দেয়া হয়েছে।’
এই চারা বিতরণ উপলক্ষে গত ২০ ডিসেম্বর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদিন, সহযোগী গবেষক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন সুমন এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরীয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার ড. উম্মে হাবিবা, পিএইচডি শিক্ষার্থী মোছাঃ লাজিনা বেগম বক্তৃতা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘গাছ আমাদের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তু। যেভাবে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে তাতে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য শহরাঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদে বাগান করার মাধ্যমে কিছুটা হলেও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব।’
স্থানীয় বাগানী ফারহানা আজাদ সোমা বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে উন্নতমানের ফল এবং সবজি চারা পাচ্ছি। এতে করে আমাদের বাগানে ফলন বাড়বে এবং আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।’ আরেক বাগানী এস, এস, এম নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে উন্নত চারা পাচ্ছিলাম না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের কাজ সহজ হবে এবং উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে। আমি আশা করি, এই চারাগুলি আমাদের আয় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।’