রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিকিৎসকরা লেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন। শুধু লেবু নয়, এর খোসাও কিন্তু উপকারী। লেবু ও খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখে। খাবারে ব্যবহারের পাশাপাশি গৃহস্থালি নানা কাজেও এর ব্যবহার রয়েছে। লেবুর খোসায় থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড আসবাব ও তৈজসের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে। রূপচর্চাতেও লেবুর খোসা দারুণ কার্যকর। জেনে নিন উপকারী লেবুর খোসা কীভাবে কাজে লাগাবেন।
একটি পাত্রে পানি নিয়ে লেবুর খোসা দিন। পাত্রটি মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভেতর ৫ মিনিট গরম করুন। দূর হবে দুর্গন্ধ।
লেবুর খোসা সাদা ভিনেগারে ডুবিয়ে রাখুন। মিশ্রণটি স্প্রে বোতলে ভরে তা দিয়ে গ্যাসের চুলা, রান্নাঘরের টাইলস ও মেঝে মুছতে পারেন। তেলচিটে ভাব চলে যাওয়ার পাশাপাশি সুগন্ধও মিলবে।
পেঁয়াজ বা রসুন কাটার পর হাত থেকে গন্ধ যেতে চাইছে না? এক টুকরো লেবুর খোসা ঘষে নিন হাতে।
লেবুর খোসা বেটে পেস্ট তৈরি করুন। যেকোনও তরকারিতে এই পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। আবার লেবুর খোসা কুচি করে মিশিয়ে দিতে পারেন স্মুদি, তরকারি বা স্যুপে। চমৎকার সুগন্ধ আসবে খাবার থেকে।
ঘাড়-কনুইয়ের কালো দাগ দূর করতেও লেবুর খোসা দারুণ উপকারী। মধু মাখিয়ে লেবুর খোসা ত্বকের কালচে অংশে ঘষলে দাগ দূর হবে। লেবু নিজে প্রাকৃতিক স্ক্রাবার। তাই লেবুর খোসা ত্বকের মৃত কোষ ঝরিয়ে ত্বককে টানটান ও মসৃণ রাখে।
পাঁচ চা চামচ মধু ও তিন চা চামচ লেবুর খোসা গুঁড়া একসঙ্গে মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে।
প্রতিদিন সকালে লেবুর খোসার ওপর সামান্য লবণ ছিটিয়ে দাঁতে ঘষুন। দাঁতের হলদেটে ভাব দূর হবে।
কাটিং বোর্ডের গন্ধ দূর করতে সামান্য লবণ ছড়িয়ে এক টুকরো লেবুর খোসা ঘষে নিন।
লেবুর খোসা কুচি করে বরফের ট্রেতে পানির সাথে জমিয়ে নিন। চা বানিয়ে সেটি ঠান্ডা করে দুই থেকে তিনটি লেবুর খোসা দেওয়া বরফ যোগ করুন। তৈরি হয়ে যাবে আইসড টি।
লেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে যেখানে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশি সেখানে ছিটিয়ে দিন। পোকা ও পিঁপড়া আসবে না।