০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন। স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে জর্জিয়ার প্লেইনস শহরে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের প্রতিষ্ঠিত কার্টার সেন্টার থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

ডেমোক্রেট নেতা জিমি কার্টার ১৯৭৭ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ১৯৮১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে রোনাল্ড রেগানের কাছে হেরে রাজনীতি থেকে অবসরে যান তিনি। তখন তার বয়স ছিল ৫৬ বছর।

অবশ্য হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর তিনি আবার মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজের সুনাম ফিরে পান জিমি কার্টার। আন্তর্জাতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজের জন্য তাকে ২০০২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে জিমি কার্টার সবচেয়ে দীর্ঘ জীবন পেয়েছিলেন। চলতি বছরের ১ অক্টোবর তার শততম জন্মদিন উদযাপন করেছেন তিনি।

এক বিবৃতিতে জিমি কার্টারের ছেলে চিপ কার্টার বলেন, ‘আমার বাবা একজন নায়ক ছিলেন; শুধু আমার কাছেই নন, যারা শান্তি, মানবাধিকার এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বিশ্বাস করেন এমন সবার কাছেই।’

জিমি কার্টার চার সন্তান ও ১১ নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার স্ত্রী রোসালিন ২০২৩ সালের নভেম্বরে মারা যান।

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

আটপাড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ অনুষ্ঠিত

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যু

পোষ্টের সময় : ০৪:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন। স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে জর্জিয়ার প্লেইনস শহরে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের প্রতিষ্ঠিত কার্টার সেন্টার থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

ডেমোক্রেট নেতা জিমি কার্টার ১৯৭৭ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ১৯৮১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে রোনাল্ড রেগানের কাছে হেরে রাজনীতি থেকে অবসরে যান তিনি। তখন তার বয়স ছিল ৫৬ বছর।

অবশ্য হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর তিনি আবার মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজের সুনাম ফিরে পান জিমি কার্টার। আন্তর্জাতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজের জন্য তাকে ২০০২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে জিমি কার্টার সবচেয়ে দীর্ঘ জীবন পেয়েছিলেন। চলতি বছরের ১ অক্টোবর তার শততম জন্মদিন উদযাপন করেছেন তিনি।

এক বিবৃতিতে জিমি কার্টারের ছেলে চিপ কার্টার বলেন, ‘আমার বাবা একজন নায়ক ছিলেন; শুধু আমার কাছেই নন, যারা শান্তি, মানবাধিকার এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বিশ্বাস করেন এমন সবার কাছেই।’

জিমি কার্টার চার সন্তান ও ১১ নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার স্ত্রী রোসালিন ২০২৩ সালের নভেম্বরে মারা যান।