০৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জার্মানিতে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ

জার্মানিতে অভিবাসন সীমিত করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পার্লামেন্ট ভবন বুন্ডেস্ট্যাগের পাশে বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটের সামনে জড়ো হয়েছিলেন অন্তত এক লাখ ৬০ হাজার বিক্ষোভকারী। বার্লিন পুলিশ জানিয়েছে, তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন পোস্টার। এ সময় তারা অভিবাসন নিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

শুক্রবার জার্মানির কনজারভেটিভ পার্টির চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রিডরিশ মের্জ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে (বুন্ডেসটাগ) এই অভিবাসন বিলটি উত্থাপন করলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হন। তার নিজের দলের কিছু সদস্যই এই বিলে সমর্থন দিতে রাজি হননি, ফলে তার নেতৃত্ব কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। খসড়া এই বিলটিতে সমর্থন করে কট্টর ডানপন্থী ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’-এএফডি। এর ফলে মের্জ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। জার্মানির আগামী জাতীয় নির্বাচনে পরবর্তী চ্যান্সেলর হওয়ার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে তাকে। এদিকে এএফডি বর্তমানে জার্মানির নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নজরদারির আওতায় রয়েছে।

খসড়া আইনটি কিছু শরণার্থীর জন্য পারিবারিক পুনর্মিলনকে সীমাবদ্ধ করতো এবং আরও বেশি সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সীমান্ত থেকেই ফেরত পাঠানোর নিয়ম চালু করতো।

অবশ্য সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপ অনুসারে, দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ অভিবাসন নীতির কঠোরতার পক্ষে মত দিয়েছেন।

তবে মের্জ যুক্তি দেন যে, সম্প্রতি জনসমক্ষে একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্তরা অভিবাসী ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে, তাই এই আইন জরুরি। কিন্তু বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট (এসপিডি) এবং গ্রিন পার্টি এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, প্রস্তাবিত আইন এসব হামলা ঠেকাতে পারত না এবং এটি ইউরোপীয় আইন লঙ্ঘন করবে।

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

জার্মানিতে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ

পোষ্টের সময় : ০২:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জার্মানিতে অভিবাসন সীমিত করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পার্লামেন্ট ভবন বুন্ডেস্ট্যাগের পাশে বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটের সামনে জড়ো হয়েছিলেন অন্তত এক লাখ ৬০ হাজার বিক্ষোভকারী। বার্লিন পুলিশ জানিয়েছে, তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন পোস্টার। এ সময় তারা অভিবাসন নিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

শুক্রবার জার্মানির কনজারভেটিভ পার্টির চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রিডরিশ মের্জ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে (বুন্ডেসটাগ) এই অভিবাসন বিলটি উত্থাপন করলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হন। তার নিজের দলের কিছু সদস্যই এই বিলে সমর্থন দিতে রাজি হননি, ফলে তার নেতৃত্ব কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। খসড়া এই বিলটিতে সমর্থন করে কট্টর ডানপন্থী ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’-এএফডি। এর ফলে মের্জ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। জার্মানির আগামী জাতীয় নির্বাচনে পরবর্তী চ্যান্সেলর হওয়ার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে তাকে। এদিকে এএফডি বর্তমানে জার্মানির নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নজরদারির আওতায় রয়েছে।

খসড়া আইনটি কিছু শরণার্থীর জন্য পারিবারিক পুনর্মিলনকে সীমাবদ্ধ করতো এবং আরও বেশি সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সীমান্ত থেকেই ফেরত পাঠানোর নিয়ম চালু করতো।

অবশ্য সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপ অনুসারে, দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ অভিবাসন নীতির কঠোরতার পক্ষে মত দিয়েছেন।

তবে মের্জ যুক্তি দেন যে, সম্প্রতি জনসমক্ষে একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্তরা অভিবাসী ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে, তাই এই আইন জরুরি। কিন্তু বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট (এসপিডি) এবং গ্রিন পার্টি এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, প্রস্তাবিত আইন এসব হামলা ঠেকাতে পারত না এবং এটি ইউরোপীয় আইন লঙ্ঘন করবে।