০৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে প্রবাসীকে হত্যায় স্ত্রী ও পরকিয়া প্রেমিকের আমৃত্যু কারাদন্ড

প্রতীকি ছবি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় প্রবাস ফেরত স্বামীকে হত্যার দায়ে পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হাফিজা খাতুন (৪২) ও তার পরকীয়া প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম (৩৬)। আমৃত্যু কারাদন্ড দেওয়ার পাশাপাশি দুই জনকেই ১ লাখ টাকা করে অর্থদন্ডও দেওয়া হয়েছে। মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর আসামী মো. আরমান মামলার স্বাক্ষ্য চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। পলাতক থাকায় আবদুল্লাহ আল মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

আদালত ও মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৮ জুন জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকী এলাকার দুবাই প্রবাসী হেলাল উদ্দিনকে গলায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হাফিজা খাতুন তার প্রবাস ফেরত স্বামীকে হত্যার জন্য সদর উপজেলার চরঘাগড়া গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাসুমকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে ঘুম পাড়ান স্ত্রী হাফিজা খাতুন। তারপর মাসুম ও তার এক সহযোগী বাড়িতে গিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করে হেলাল উদ্দিনকে। পরে এ ঘটনাকে ডাকাতির নাটক সাজানো হয়েছিল।

এ ঘটনায় নিহত হেলাল উদ্দিনের বোন সাফিয়া আক্তার বাদি হয়ে ঘটনার পরদিন মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ হাফিজা খাতুন, তার পরকীয়া প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম এবং মো. আরমান নামে তিনজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে আদালত সোমবার রায় ঘোষণা করে।
মামলায় আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট সাজেদুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সহকারী সরকারি আইন কর্মকর্তা (এপিপি) এডভোকেট মো. শামীম উল আজম খান।

 

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

ময়মনসিংহে প্রবাসীকে হত্যায় স্ত্রী ও পরকিয়া প্রেমিকের আমৃত্যু কারাদন্ড

পোষ্টের সময় : ০৩:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় প্রবাস ফেরত স্বামীকে হত্যার দায়ে পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হাফিজা খাতুন (৪২) ও তার পরকীয়া প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম (৩৬)। আমৃত্যু কারাদন্ড দেওয়ার পাশাপাশি দুই জনকেই ১ লাখ টাকা করে অর্থদন্ডও দেওয়া হয়েছে। মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর আসামী মো. আরমান মামলার স্বাক্ষ্য চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। পলাতক থাকায় আবদুল্লাহ আল মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

আদালত ও মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৮ জুন জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকী এলাকার দুবাই প্রবাসী হেলাল উদ্দিনকে গলায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হাফিজা খাতুন তার প্রবাস ফেরত স্বামীকে হত্যার জন্য সদর উপজেলার চরঘাগড়া গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাসুমকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে ঘুম পাড়ান স্ত্রী হাফিজা খাতুন। তারপর মাসুম ও তার এক সহযোগী বাড়িতে গিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করে হেলাল উদ্দিনকে। পরে এ ঘটনাকে ডাকাতির নাটক সাজানো হয়েছিল।

এ ঘটনায় নিহত হেলাল উদ্দিনের বোন সাফিয়া আক্তার বাদি হয়ে ঘটনার পরদিন মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ হাফিজা খাতুন, তার পরকীয়া প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম এবং মো. আরমান নামে তিনজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে আদালত সোমবার রায় ঘোষণা করে।
মামলায় আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট সাজেদুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সহকারী সরকারি আইন কর্মকর্তা (এপিপি) এডভোকেট মো. শামীম উল আজম খান।