০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ মাস বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে ফিরেছে যমুনা সার কারখানা

গ্যাস সংকটে ১৩ মাসের বেশি সময় পর গ্যাস সংযোগ পেয়ে উৎপাদনে ফিরেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। রবিবার সন্ধার পর থেকে উৎপাদনে ফিরে যমুনা সার কারখানা।

কারখানা সুত্রে জানা যায়, কারখানাটি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা নিয়ন্ত্রণাধীন এবং কেপিআই-১ মানসম্পন্ন সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দৈনিক ১ হাজার ৭০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন করে আসছিল কারখানাটি। কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রæটির কারণে কারখানার উৎপাদন কমে বর্তমানে ১ হাজার ২০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করছে। গত বছরের (২০২৪ সাল) ১৫ জানুয়ারি থেকে যমুনার গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এরপর থেকেই যমুনায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

এদিকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার থেকে গ্যাসের চাপ পুনরায় বৃদ্ধি করলে ইউরিয়া সার উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে যন্ত্রাংশের কিছুটা মেরামত করে অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া পুরোপুরি উৎপাদনে রবিবার সন্ধা ৬ টার পর থেকে ইউরিয়া উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আ.স.ম মোসলে উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটিতে গ্যাস সংকটে সার উৎপাদন বন্ধ ছিলো। গত ১৩ ফেব্রæয়ারি পূনরায় গ্যাস দেয় তিতাস। সকল কার্যক্রম শেষ করে রবিবার সন্ধা ৬ টার পর থেকেই পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরে যমুনা সার কারখানা।

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

১৩ মাস বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে ফিরেছে যমুনা সার কারখানা

পোষ্টের সময় : ০২:৫৮:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গ্যাস সংকটে ১৩ মাসের বেশি সময় পর গ্যাস সংযোগ পেয়ে উৎপাদনে ফিরেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। রবিবার সন্ধার পর থেকে উৎপাদনে ফিরে যমুনা সার কারখানা।

কারখানা সুত্রে জানা যায়, কারখানাটি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা নিয়ন্ত্রণাধীন এবং কেপিআই-১ মানসম্পন্ন সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দৈনিক ১ হাজার ৭০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন করে আসছিল কারখানাটি। কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রæটির কারণে কারখানার উৎপাদন কমে বর্তমানে ১ হাজার ২০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করছে। গত বছরের (২০২৪ সাল) ১৫ জানুয়ারি থেকে যমুনার গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এরপর থেকেই যমুনায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

এদিকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার থেকে গ্যাসের চাপ পুনরায় বৃদ্ধি করলে ইউরিয়া সার উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে যন্ত্রাংশের কিছুটা মেরামত করে অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া পুরোপুরি উৎপাদনে রবিবার সন্ধা ৬ টার পর থেকে ইউরিয়া উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আ.স.ম মোসলে উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটিতে গ্যাস সংকটে সার উৎপাদন বন্ধ ছিলো। গত ১৩ ফেব্রæয়ারি পূনরায় গ্যাস দেয় তিতাস। সকল কার্যক্রম শেষ করে রবিবার সন্ধা ৬ টার পর থেকেই পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরে যমুনা সার কারখানা।