০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে আন্তঃজেলা সাত ডাকাত গ্রেফতার

ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার ৭ আন্তঃজেলা ডাকাত।

 

ময়মনসিংহে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। রবিবার নারায়ণঞ্জ, গাজীপুর ও নেত্রকোনা জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মো. শরীফ হোসেন (২৬), মো. নাঈম আহম্মেদ (২২), মো. ইয়াসিন (২৪), মো. রাজন (২২), মো. হাসান (২১), মামুন মিয়া (২২) ও ইদ্রিস আলী (৫০)। এসময় গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের হেফাজত হতে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৯ জানুয়ারি বিকালে রাজীব পরিবহন নামে একটি ট্রাকে ড্রাইভার জুয়েল মিয়া ও তার হেলপার আলম মিয়াসহ চট্টগ্রামের মীরেশ্বরাই বারুইহাট বাজার থেকে ১৫ টন রড বোঝাই করে শেরপুর জেলার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পরদিন ভোরে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল রায়মনি এলাকার পৌঁছা মাত্রই একটি খালি ট্রাক দিয়ে রড বোঝাইকৃত ট্রাকটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ট্রাকটি থামায়। পরে খালি ট্রাক থেকে ৫ জন ডাকাত ধারালো দা, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রড বোঝাইকৃত ট্রাকের ড্রাইভার জুয়েলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং হেলপারকে ট্রাক থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে রডভর্তি ট্রাক নিয়ে চলে যায়।

ডাকাতির ঘটনাটি ত্রিশাল থানা পুলিশ অবগত হওয়ার পর ব্যাপক পুলিশি তৎপরতায় ভালুকায় ধীতপুর বাওয়ারগ্রাম নামক স্থানে লুণ্ঠিত ট্রাক এবং ট্রাকে থাকা রড রেখে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাজীব পরিবহনের ম্যানেজার মো. লুৎফর রহমান বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। মামলাটি রুজু হওয়ার পর ত্রিশাল থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করেন।

পরে ডিবি পরপর দুই দিন অভিযান চালিয়ে নারায়ণঞ্জ, গাজীপুর ও নেত্রকোনা থেকে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির পণ্য গ্রহনকারী একজন দোকানদারকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

ময়মনসিংহে আন্তঃজেলা সাত ডাকাত গ্রেফতার

পোষ্টের সময় : ০৫:২৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ময়মনসিংহে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। রবিবার নারায়ণঞ্জ, গাজীপুর ও নেত্রকোনা জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মো. শরীফ হোসেন (২৬), মো. নাঈম আহম্মেদ (২২), মো. ইয়াসিন (২৪), মো. রাজন (২২), মো. হাসান (২১), মামুন মিয়া (২২) ও ইদ্রিস আলী (৫০)। এসময় গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের হেফাজত হতে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৯ জানুয়ারি বিকালে রাজীব পরিবহন নামে একটি ট্রাকে ড্রাইভার জুয়েল মিয়া ও তার হেলপার আলম মিয়াসহ চট্টগ্রামের মীরেশ্বরাই বারুইহাট বাজার থেকে ১৫ টন রড বোঝাই করে শেরপুর জেলার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পরদিন ভোরে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল রায়মনি এলাকার পৌঁছা মাত্রই একটি খালি ট্রাক দিয়ে রড বোঝাইকৃত ট্রাকটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ট্রাকটি থামায়। পরে খালি ট্রাক থেকে ৫ জন ডাকাত ধারালো দা, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রড বোঝাইকৃত ট্রাকের ড্রাইভার জুয়েলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং হেলপারকে ট্রাক থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে রডভর্তি ট্রাক নিয়ে চলে যায়।

ডাকাতির ঘটনাটি ত্রিশাল থানা পুলিশ অবগত হওয়ার পর ব্যাপক পুলিশি তৎপরতায় ভালুকায় ধীতপুর বাওয়ারগ্রাম নামক স্থানে লুণ্ঠিত ট্রাক এবং ট্রাকে থাকা রড রেখে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাজীব পরিবহনের ম্যানেজার মো. লুৎফর রহমান বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। মামলাটি রুজু হওয়ার পর ত্রিশাল থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করেন।

পরে ডিবি পরপর দুই দিন অভিযান চালিয়ে নারায়ণঞ্জ, গাজীপুর ও নেত্রকোনা থেকে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির পণ্য গ্রহনকারী একজন দোকানদারকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।