ময়মনসিংহের ফুলপুরে দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে জমি ও মার্কেট দখলের অভিযোগ উঠেছে পতিত সরকারের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হলেও সমাধান হয়নি।
উপজেলার নলচাপড়াকান্দা গ্রামের মইশাকান্দা বাজারের মোসলেহ উদ্দিন আদালতে অভিযোগ করে বলেন, মইশাকান্দা বাজারে তার ক্রয়ক্রিত সম্পত্তি ২০০০ সাল থেকে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু ২৫ জুলাই তারিখে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত আশরাফুল ইসলাম (৩১) সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলা করে ৮ টি দোকান ভাংচুর করে।
৫ আগষ্ট সরকার পতন হলে দখলদার বাহিনী পালিয়ে গেলে দখল করা মার্কেট ও জমি রেখে পালিয়ে যায় আশরাফুল বাহিনী। মোসলেহ উদ্দিন জানান, দখলদাররা পালিয়ে গেলে মার্কেট বর্তমানে পতিত হয়ে যায়৷ তবে তারা আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।
তিনি আরও বলেন, আমার মার্কেটে লুটপাট করায় আমার আনুমানিক ৮-১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারা আমার ২১ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে। আমার সব ভাড়াটিয়া চলে গেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোসলেহ উদ্দিন ও তার পরিবারের ৪৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করে আশরাফুল ইসলাম। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
৯ নং বালিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, এই জমিটি ক্রয় করে দীর্ঘদিন যাবত মোসলেহ উদ্দিন দোকান নির্মান করে ভোগদখল করে আসছিলো। কিন্তু জমির কাগজপত্রে কিছুটা ঝামেলা থাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আশরাফুল জমিটি দখল করে নেয়। সে এলাকায় দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলো। সরকার পতনের পরে সবকিছু ফেলে সে গা ঢাকা দেয়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার জানান, জমিটি মোসলেহ উদ্দিন এর মালিকানাধীন জানতাম। কিছুদিন যাবত স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আশরাফুলের সাথে জমির মালিকের দ্বন্দ তৈরি হয়। এ নিয়ে একাধিক বার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েও মিমাংসা হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে আশরাফুল ইসলামের মোবাইলে বার বার ফোন দেয়া হলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।
ফুলপুর থনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আব্দুল হাদি বলেন, জমিসংক্রান্ত ঝামেলায় বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সে যদি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকে তবে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।