জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত তোফাজ্জল হোসেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাতি গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন
ঘটনার প্রায় সাত মাস পর, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করায় শুক্রবার (২১ মার্চ) ঘটনাস্থল এলাকার শরিফ মিয়া নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ওবায়দুল কাদেরসহ ২৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী জৈনাবাজার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার একটি মিছিল ময়মনসিংহের ভালুকার মাস্টারবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে মিছিল ছত্রভঙ্গ হলে রাজমিস্ত্রি তোফাজ্জল হোসেনকে ধরে ফেলে এবং পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে মাস্টারবাড়ীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসা না পেয়ে শ্রীপুর সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ৫ আগস্ট ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং সকালে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।