আজ, ২৪ মার্চ, বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জন্মদিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে মাগুরায় জন্মগ্রহণ করা সাকিব আজ বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর অসাধারণ প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম এবং নেতৃত্বগুণ বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি দারুণ আগ্রহী ছিলেন সাকিব। মাগুরার মফস্বল শহর থেকে উঠে এসে বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়া এবং সেখান থেকে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ছিল চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তাঁর প্রতিভা তাঁকে আলাদা করে তোলে। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় তাঁর, আর সেখান থেকেই শুরু হয় এক কিংবদন্তির যাত্রা।
সাকিব আল হাসান শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ১৪ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান ও বল হাতে ৭০০-এর বেশি উইকেট নিয়ে তিনি ক্রিকেট ইতিহাসে এক বিরল কীর্তি গড়েছেন।
সেরা কিছু মুহূর্ত:
২০০৯ সালে প্রথমবার আইসিসি অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠে আসা।
২০১৫ বিশ্বকাপে ব্যাট ও বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা।
২০১৯ বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ৬০৬ রান ও ১১ উইকেট—বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স।
টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই দীর্ঘ সময় অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা।
সাকিবের ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন ছিল। ২০১৯ সালে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার পর অনেকেই ভেবেছিল তিনি হয়তো আর আগের ফর্মে ফিরতে পারবেন না। কিন্তু ফিরে এসে তিনি আবারও নিজেকে প্রমাণ করেছেন এবং বাংলাদেশের হয়ে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছেন।
সাকিব শুধু একজন ক্রিকেটার নন, বরং বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে বহু ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তাঁর অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ বহু ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছানো, ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, এবং ঘরের মাঠে বড় দলগুলোর বিপক্ষে দাপুটে জয়।
সাকিব আল হাসান শুধু একজন ক্রিকেটার নন, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আইকন। তাঁর অর্জন, লড়াই, এবং সাফল্য প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। জন্মদিনে বাংলাদেশের এই সুপারম্যানকে জানাই শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা।
শুভ জন্মদিন, সাকিব!