শুরু হলো নাজাতের দশ দিন। পবিত্র মাহে রমজানের এই দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবীজি (সা.) এই দিনগুলোতে ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দিতেন।
এই সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় ইবাদত-বন্দেগির ওপর। কারণ এই সময়েই রয়েছে লাইলাতুল কদর।
আল্লাহ তাআলা বলেন, লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। (সুরা আল-কদর: ৩)
নাজাতের ১০ দিনে আরো ইবাদাত সমূহ যা রাসূল (সা.) করতেন,
১. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) শেষ দশকে ইবাদতের মাত্রা এত বেশি বাড়িয়ে দিতেন, যেমনটি অন্য সময় করতেন না। (আস সুনানুল কুবরা, হাদিস : ৮৩৫১; মুসলিম, হাদিস : ১১৭৫)
২. আয়েশা (রা.) বলেন, রমজানের শেষ দশক এলে রাসুল (সা.) কোমর শক্ত করে বেঁধে নিতেন এবং রাত জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৪)
৩. আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘ইন্তেকাল পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। এরপর তাঁর স্ত্রীরাও ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৮৬৮; মুসলিম, হাদিস : ২০০৬)
৪. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান করো। (বুখারি, হাদিস : ২০১৭)
৫. আয়েশা (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, যদি আমি লাইলাতুল কদর জানতে পারি, তাহলে সে রাতে কী বলব? তিনি বলেন, তুমি বোলো, (উচ্চারণ) ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি’ (অর্থ) ‘হে আল্লাহ, আপনি সম্মানিত ক্ষমাকারী, আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)
৬. কোনো ব্যক্তি যদি রমজানে তার গুনাহ ক্ষমা করাতে ব্যর্থ হয়, তবে তার প্রতি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হুঁশিয়ারি আছে। তিনি বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তির নাক ধুলাধূসরিত হোক, যে রমজান পেল এবং তার গুনাহ মাফ করার আগেই তা বিদায় নিল।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৫)
৭. রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ঈদের নামাজের আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করতেন। (বুখারি, হাদিস : ১৫০৩)