০৮:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথম দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফরে ড. ইউনূস চীন যাচ্ছেন আগামীকাল

  • RA
  • পোষ্টের সময় : ১১:২২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • ৫১ ভিউ :

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে ২৬ মার্চ চীন যাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি তাঁর প্রথম দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফর।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ২৬ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে চীনের পাঠানো একটি চার্টার ফ্লাইটে যাবেন এবং ২৭ মার্চ বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দেবেন। এরপর ২৮ মার্চ বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন, যেখানে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই ও সহযোগিতার ঘোষণা আসবে। একই দিনে তিনি চীনের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সংলাপসহ বিনিয়োগবিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন এবং হুয়াওয়ের দপ্তর পরিদর্শন করবেন। ২৯ মার্চ পিকিং ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দিয়ে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

সফর ঘিরে ঢাকা ও বেইজিং শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মূলত অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির দিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সফরে বিনিয়োগ, স্বাস্থ্যসেবা, পানি ব্যবস্থাপনা ও রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও ৮টি সমঝোতা স্মারক সই হবে, যার মধ্যে রয়েছে মোংলা বন্দর আধুনিকায়ন, আহতদের পুনর্বাসন, চীন-মৈত্রী সেতু সংস্কার, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন, খেলাধুলা, বই অনুবাদ এবং দুর্যোগ সহযোগিতা।

এ সফরে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা চালাবে। চীন বাংলাদেশের জন্য বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগে (জিডিআই) যোগদানের প্রস্তাব দিলেও ঢাকা এখনই এতে স্বাক্ষর করতে আগ্রহী নয়।

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

প্রথম দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফরে ড. ইউনূস চীন যাচ্ছেন আগামীকাল

পোষ্টের সময় : ১১:২২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে ২৬ মার্চ চীন যাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি তাঁর প্রথম দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফর।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ২৬ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে চীনের পাঠানো একটি চার্টার ফ্লাইটে যাবেন এবং ২৭ মার্চ বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দেবেন। এরপর ২৮ মার্চ বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন, যেখানে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই ও সহযোগিতার ঘোষণা আসবে। একই দিনে তিনি চীনের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সংলাপসহ বিনিয়োগবিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন এবং হুয়াওয়ের দপ্তর পরিদর্শন করবেন। ২৯ মার্চ পিকিং ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দিয়ে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

সফর ঘিরে ঢাকা ও বেইজিং শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মূলত অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির দিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সফরে বিনিয়োগ, স্বাস্থ্যসেবা, পানি ব্যবস্থাপনা ও রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও ৮টি সমঝোতা স্মারক সই হবে, যার মধ্যে রয়েছে মোংলা বন্দর আধুনিকায়ন, আহতদের পুনর্বাসন, চীন-মৈত্রী সেতু সংস্কার, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন, খেলাধুলা, বই অনুবাদ এবং দুর্যোগ সহযোগিতা।

এ সফরে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা চালাবে। চীন বাংলাদেশের জন্য বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগে (জিডিআই) যোগদানের প্রস্তাব দিলেও ঢাকা এখনই এতে স্বাক্ষর করতে আগ্রহী নয়।