০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

  • RA
  • পোষ্টের সময় : ০৪:৪৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • ৩৯ ভিউ :

আজ ২৬শে মার্চ।

৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের ভয়াবহ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর নিষ্ঠুর হামলার মাধ্যমে বাঙালির জীবনে নেমে আসে এক বিভীষিকাময় অধ্যায়। সেদিন অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত দখলদার বাহিনী নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়, যা স্বাধীনতার চেতনা আরও দৃঢ় করে তোলে।

 

দিবসটির যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য বিভিন্ন প্রকার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রভাতেই ঢাকাসহ সারাদেশে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। পাশাপাশি, ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে।

 

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্মৃতিসৌধ চত্বরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে, যা ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবে। সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, আহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, বিদেশি কূটনীতিক এবং সাধারণ জনগণও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অংশ নেবেন।

 

জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। সরকারি ছুটির পাশাপাশি, সংবাদপত্রগুলো দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও প্রবন্ধ প্রকাশ করবে, আর ইলেকট্রনিক মিডিয়া মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রচার করছে।

 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে। এছাড়া, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, কাবাডি ও হাডুডুসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

 

মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

 

দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘর বিনামূল্যে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে।

 

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

পোষ্টের সময় : ০৪:৪৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

আজ ২৬শে মার্চ।

৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের ভয়াবহ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর নিষ্ঠুর হামলার মাধ্যমে বাঙালির জীবনে নেমে আসে এক বিভীষিকাময় অধ্যায়। সেদিন অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত দখলদার বাহিনী নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়, যা স্বাধীনতার চেতনা আরও দৃঢ় করে তোলে।

 

দিবসটির যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য বিভিন্ন প্রকার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রভাতেই ঢাকাসহ সারাদেশে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। পাশাপাশি, ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে।

 

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্মৃতিসৌধ চত্বরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে, যা ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবে। সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, আহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, বিদেশি কূটনীতিক এবং সাধারণ জনগণও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অংশ নেবেন।

 

জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। সরকারি ছুটির পাশাপাশি, সংবাদপত্রগুলো দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও প্রবন্ধ প্রকাশ করবে, আর ইলেকট্রনিক মিডিয়া মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রচার করছে।

 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে। এছাড়া, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, কাবাডি ও হাডুডুসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

 

মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

 

দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘর বিনামূল্যে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে।