বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বুধবার (২৬ মার্চ) এক শুভেচ্ছা বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, বাংলাদেশ-রাশিয়ার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে। আমি নিশ্চিত আমাদের জনগণের কল্যাণে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করার স্বার্থে এই সম্পর্ক আরও বিকশিত হতে থাকবে।
রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, “ভারত সরকার, জনগণ এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বহুমুখী, যেখানে আমাদের সহযোগিতা বাণিজ্য, বহুমুখী যোগাযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ও জনগণের সঙ্গে জনগণের পারস্পরিক বিনিময়ের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত। ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ ও ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি, সাগর ডকট্রিন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গির কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশ রয়েছে। গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশকে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে ভারত।”
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে লেখা চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবসে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজকের দিনটি আমাদের অভিন্ন ইতিহাস ও ত্যাগের স্মারক, যার মাধ্যমে আমাদের দুদেশের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্বের ভিত রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পথনির্দেশক আলো হিসাবে রয়েছে। সেই সম্পর্ক বহুবিধ ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়ে দুদেশের জনগণের জন্য দৃশ্যমান উপকার বয়ে এনেছে। আমরা এই অংশীদারত্বকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি, যেটা পরিচালিত হবে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির অভিন্ন আকাঙ্ক্ষায় এবং একে-অন্যের স্বার্থ ও উদ্বেগের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে।”
এদিকে অভিনন্দন বার্তায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উল্লেখ করেছেন, গত অর্ধ শতাব্দীতে, চীন ও বাংলাদেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতর ভিত্তিতে সম্পর্ক উন্নত করেছে, দু’দেশ সবসময় পরস্পরকে সম্মান করেছে, সমতাসম্পন্ন আচরণ করেছে এবং সহযোগিতা করেছে। দু’দেশের বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে। যা দু’দেশের জনগণের জন্য বাস্তব কল্যাণ বয়ে এনেছে।
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে শি বলেন, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী এবং ‘চীন-বাংলাদেশ মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বর্ষের’ সুযোগে, দু’দেশের উচ্চ মানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ নির্মাণ এবং দু’দেশের সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বের সম্পর্কের অব্যাহত উন্নয়ন জোরদার করতে চান তিনি।
একই দিন, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও অভিনন্দন বাণী পাঠিয়েছেন।