স্টাফ রিপোর্টার :
এ বছরে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৩.২২%। এবারের পরীক্ষায় মোট ৭৭,৬২১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪৯,০৬৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮২৬জন শিক্ষার্থী।
৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এবারও এগিয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার দেশের সবগুলো শিক্ষা বোর্ডের সাথে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. সামছুল ইসলাম জানিয়েছেন, এবছর ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে মোট ৭৭ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪৯ হাজার ৬৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। অংশ গ্রহনকারীদের মধ্যে মোট ছাত্র ছিল ৩৭ হাজার ৪৫৩ জন। পাস করেছে ২২ হাজার ৯৩৫জন। ছাত্রদের মধ্যে পাসের হার ৬১.২৪%। ছাত্রী পরীক্ষার্থী ছিল ৪০ হাজার ১৬৮ জন। পাস করেছে ২৬ হাজার ১৩৪জন। পাসের হার ৬৫.০৬%। ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়ে পরীক্ষার্থী বেশি পাস করেছে।
ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ১০৯জন ও মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৭১৭ জন। বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮২৬ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে এবার মোট ২৯৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন। মোট ৯৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে এবং ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন পরীক্ষার্থী পাস করেনি।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় পাসের হার সর্বোচ্চ ৮৫.৮৯%। মানবিক শাখার পাসের হার ৫৮.২০% ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাসের হার ৫০.৭৩ %।
জেলা ভিত্তিক পাসের হার জামালপুর জেলায় ৬৫.৭৪%, ময়মনসিংহ জেলায় ৬৩.৪৩%, নেত্রকোনা জেলায় ৬২.৯০ % ও শেরপুর জেলায় ৫৮.০১ %।
এবারের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। সাতটি পরীক্ষার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এতে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর প্রথমে ১১ আগস্ট ও পরে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে আগস্টে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবারের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, সেগুলোর ফলাফল প্রকাশ করা হবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে। বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা আছে।
এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিলেন, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হয়। আর এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।