০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় ময়মনসিংহের যুবক নিহত

  • RA
  • পোষ্টের সময় : ০৮:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৮৯ ভিউ :

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় নিহত হয়েছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলার যুবক ইয়াসিন শেখ।

 

গত ২৭ মার্চ ইউক্রেনে মিসাইল হামলায় নিহত হন তিনি, তবে তার পরিবার খবরটি জানতে পারে ঈদের পরদিন, রাশিয়ায় থাকা তার এক বন্ধুর মাধ্যমে।

 

ইয়াসিনের মৃত্যুতে তার পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত সত্তর মিয়ার ছোট ছেলে ইয়াসিন ছিলেন চার ভাই-বোনের মধ্যে দুইজনের একজন। তার বড় ভাই রুহুল আমিন তার পড়াশোনা ও বিদেশ যাওয়ার খরচ বহন করেন।

 

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়ার একটি চায়না কোম্পানিতে চাকরির আবেদন করে সেপ্টেম্বর মাসে দেশটিতে যান ইয়াসিন। তিন মাস পর অনলাইনে আবেদন করে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ফেসবুকে নিয়মিত যুদ্ধ সংক্রান্ত ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতেন তিনি। এক ভিডিওতে জানান, বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই সৈনিক হয়েছেন, যদিও তা নিজ দেশে সম্ভব হয়নি। ছাত্রদল কর্মী হিসেবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে তার অংশগ্রহণ যুদ্ধের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

রাশিয়ায় যাওয়ার আগে ঢাকায় রাশিয়ান ভাষা শিখেছিলেন ইয়াসিন। তাকে রাশিয়া পাঠানো এজেন্সির লোকজন তার মা ও ভাইকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে অনাপত্তিপত্রে স্বাক্ষর করায়। মৃত্যুর আগে ২৬ মার্চ মায়ের সঙ্গে শেষবার কথা বলে জানিয়েছিলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই ১০ লাখ টাকা পাঠাবেন।

 

মরদেহ ফিরে পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

ট্যাগ :

ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় ময়মনসিংহের যুবক নিহত

পোষ্টের সময় : ০৮:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় নিহত হয়েছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলার যুবক ইয়াসিন শেখ।

 

গত ২৭ মার্চ ইউক্রেনে মিসাইল হামলায় নিহত হন তিনি, তবে তার পরিবার খবরটি জানতে পারে ঈদের পরদিন, রাশিয়ায় থাকা তার এক বন্ধুর মাধ্যমে।

 

ইয়াসিনের মৃত্যুতে তার পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত সত্তর মিয়ার ছোট ছেলে ইয়াসিন ছিলেন চার ভাই-বোনের মধ্যে দুইজনের একজন। তার বড় ভাই রুহুল আমিন তার পড়াশোনা ও বিদেশ যাওয়ার খরচ বহন করেন।

 

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়ার একটি চায়না কোম্পানিতে চাকরির আবেদন করে সেপ্টেম্বর মাসে দেশটিতে যান ইয়াসিন। তিন মাস পর অনলাইনে আবেদন করে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ফেসবুকে নিয়মিত যুদ্ধ সংক্রান্ত ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতেন তিনি। এক ভিডিওতে জানান, বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই সৈনিক হয়েছেন, যদিও তা নিজ দেশে সম্ভব হয়নি। ছাত্রদল কর্মী হিসেবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে তার অংশগ্রহণ যুদ্ধের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

রাশিয়ায় যাওয়ার আগে ঢাকায় রাশিয়ান ভাষা শিখেছিলেন ইয়াসিন। তাকে রাশিয়া পাঠানো এজেন্সির লোকজন তার মা ও ভাইকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে অনাপত্তিপত্রে স্বাক্ষর করায়। মৃত্যুর আগে ২৬ মার্চ মায়ের সঙ্গে শেষবার কথা বলে জানিয়েছিলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই ১০ লাখ টাকা পাঠাবেন।

 

মরদেহ ফিরে পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।