০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালুকের শরীরে পচন, সিলগালা ময়মনসিংহের মিনি চিড়িয়াখানা

  • RA
  • পোষ্টের সময় : ১১:২১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৮৮ ভিউ :

ময়মনসিংহ নগরের জয়নুল আবেদিন উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় একটি ভালুকের শরীরে পচন ধরার ঘটনায় চিড়িয়াখানাটি সিলগালা করেছে ঢাকার বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিট। মঙ্গলবার বিকালে পরিদর্শন শেষে ইউনিটটি চিড়িয়াখানাটি সিলগালা করে এবং ৪৮টি দেশিয় বন্যপ্রাণি জব্দ করে।

 

বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা জানান, দেশি কিংবা বিদেশি যেকোনো পশু-পাখির জন্য এই চিড়িয়াখানার পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এরপরও নিয়ম বহির্ভূতভাবে এখানে ৪৮টি দেশিয় প্রাণী রাখা হয়েছিল, যার মধ্যে ২৭টি তারা নিয়ে যাচ্ছেন এবং বাকিগুলো চিকিৎসার জন্য সেখানেই থাকবে। এখন থেকে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

 

বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস জানান, ভালুকটি অতিরিক্ত দুর্বল হওয়ায় এখনই তাকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক ভালুকটির নিয়মিত চিকিৎসা করবেন। সুস্থ হলে তখন তাকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

 

তিনি আরও জানান, জব্দকৃত প্রাণীদের মধ্যে কিছু প্রাণীকে গাজীপুরের সাফারি পার্কে রাখা হবে এবং বাকিদের অবমুক্ত করা হবে।

 

জয়নুল আবেদিন উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা গেছে, দুটি ভালুকের মধ্যে একটির শরীরে পচন ধরে গেছে এবং পায়ের অংশবিশেষ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চিড়িয়াখানার এক কর্মী কামাল হোসেন জানান, পচন ধরা অংশে ভালুকটি নিজেই কামড়ে নিজের পা ছিঁড়ে ফেলেছে। এরপর স্থানীয় প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ প্রয়োগ করে ভালুকটির চিকিৎসা চালানো হচ্ছে, তবে ক্ষত আরও বাড়ছে।

 

জানা গেছে, ২০১৩ সালে নগরের জয়নুল আবেদিন উদ্যানের ভেতরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এই মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়। এতে হরিণ, ভালুক, কুমির, হনুমান, গাধা, অজগরসহ মোট ২৪ প্রজাতির প্রাণী ছিল। মেছো বাঘের মৃত্যুর পর বর্তমানে সেখানে ২৩ প্রজাতির ১১৪টি প্রাণী রয়েছে। দর্শনার্থীরা ৩০ টাকা টিকিট কেটে এই চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতেন। এ বিষয়ে সেখানকার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মামুন জানান, তৎকালীন পৌরসভার মেয়র প্রয়াত অ্যাডভোকেট মাহমুদ আল নূর তারেক মিনি চিড়িয়াখানাটির অনুমতি দিয়েছিলেন।

 

ট্যাগ :

ভালুকের শরীরে পচন, সিলগালা ময়মনসিংহের মিনি চিড়িয়াখানা

পোষ্টের সময় : ১১:২১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

ময়মনসিংহ নগরের জয়নুল আবেদিন উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় একটি ভালুকের শরীরে পচন ধরার ঘটনায় চিড়িয়াখানাটি সিলগালা করেছে ঢাকার বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিট। মঙ্গলবার বিকালে পরিদর্শন শেষে ইউনিটটি চিড়িয়াখানাটি সিলগালা করে এবং ৪৮টি দেশিয় বন্যপ্রাণি জব্দ করে।

 

বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা জানান, দেশি কিংবা বিদেশি যেকোনো পশু-পাখির জন্য এই চিড়িয়াখানার পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এরপরও নিয়ম বহির্ভূতভাবে এখানে ৪৮টি দেশিয় প্রাণী রাখা হয়েছিল, যার মধ্যে ২৭টি তারা নিয়ে যাচ্ছেন এবং বাকিগুলো চিকিৎসার জন্য সেখানেই থাকবে। এখন থেকে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

 

বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস জানান, ভালুকটি অতিরিক্ত দুর্বল হওয়ায় এখনই তাকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক ভালুকটির নিয়মিত চিকিৎসা করবেন। সুস্থ হলে তখন তাকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

 

তিনি আরও জানান, জব্দকৃত প্রাণীদের মধ্যে কিছু প্রাণীকে গাজীপুরের সাফারি পার্কে রাখা হবে এবং বাকিদের অবমুক্ত করা হবে।

 

জয়নুল আবেদিন উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা গেছে, দুটি ভালুকের মধ্যে একটির শরীরে পচন ধরে গেছে এবং পায়ের অংশবিশেষ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চিড়িয়াখানার এক কর্মী কামাল হোসেন জানান, পচন ধরা অংশে ভালুকটি নিজেই কামড়ে নিজের পা ছিঁড়ে ফেলেছে। এরপর স্থানীয় প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ প্রয়োগ করে ভালুকটির চিকিৎসা চালানো হচ্ছে, তবে ক্ষত আরও বাড়ছে।

 

জানা গেছে, ২০১৩ সালে নগরের জয়নুল আবেদিন উদ্যানের ভেতরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এই মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়। এতে হরিণ, ভালুক, কুমির, হনুমান, গাধা, অজগরসহ মোট ২৪ প্রজাতির প্রাণী ছিল। মেছো বাঘের মৃত্যুর পর বর্তমানে সেখানে ২৩ প্রজাতির ১১৪টি প্রাণী রয়েছে। দর্শনার্থীরা ৩০ টাকা টিকিট কেটে এই চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতেন। এ বিষয়ে সেখানকার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মামুন জানান, তৎকালীন পৌরসভার মেয়র প্রয়াত অ্যাডভোকেট মাহমুদ আল নূর তারেক মিনি চিড়িয়াখানাটির অনুমতি দিয়েছিলেন।