ইসরায়েলি বাহিনীর জাতিগত নিধন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির আয়োজন করেছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ। এই পদযাত্রা ১২ এপ্রিল (শনিবার) ঢাকার শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে একই সময়ে ঢাকায় ৫০টি দেশের ৬০০-এর বেশি বিনিয়োগকারী অবস্থান করছেন বলে, কর্মসূচিটি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্ট দিয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের মূল প্রোগ্রাম বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ মুহূর্তে দেশে অবস্থান করছেন প্রায় ৫০টি দেশের ৬০০ জনের বেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকারী। বুধ ও বৃহস্পতিবার (৯ ও ১০ এপ্রিল) ইনভেস্টমেন্ট সামিটের মূল প্রোগ্রামের পাশাপাশি ১১, ১২ ১৩ এপ্রিল বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন কোম্পানি, ইপিজেড স্পেশাল ইপিজেড হাইটেক পার্ক এবং বিভিন্ন স্টার্টআপ ভিজিট করবেন।
তিনি লেখেন, ইসরায়েলি বাহিনীর জাতিগত নিধন এবং গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ আয়োজন করা হয়েছে শনিবার (১২ এপ্রিল)। যেহেতু ফিলিস্তিন আমাদের অন্তরে অত্যন্ত সংবেদনশীল জায়গা দখল করে আছে, আমার ধারণা এই মার্চে লক্ষ লক্ষ লোক হবে। আমরা এই প্রতিবাদ সমাবেশের মহৎ উদ্দেশ্যকে সম্মান করি।
তথাপি একটা কথা বলতে চাই, আমাদের সম্মিলিত প্রতিবাদের অডিয়েন্স মূলত আন্তর্জাতিক রাজনীতি, কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি নয়। এমন অবস্থায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি, তাদের স্পেশাল ইপিজেড, ইপিজেড, হাইটেক পার্ক এবং স্টার্টআপ ভিজিটের বিষয়গুলো সার্বিকভাবে বিবেচনা করে, মার্চ প্রোগ্রামটি ১২ এপ্রিলের পরিবর্তে এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা, এমন বিবেচনার জন্য বিনীতভাবে আয়োজকদের অনুরোধ করি। এক সপ্তাহের মধ্যে ফিলিস্তিন বিষয়টি কোনোভাবেই হারিয়ে যাবে না।
বিশেষ সহকারী বলেন, ইতোমধ্যেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ইসরায়েলি বর্বরতার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অত্যন্ত দরকারি। পাশাপাশি দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, ব্যবসা এবং বিনিয়োগ পরিবেশ সৃজন করাও জরুরি। ফিলিস্তিন মুক্তি পাক। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫ সফল হোক।