০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ২৮ বস্তা টাকা

  • RA
  • পোষ্টের সময় : ১১:৩৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫৮ ভিউ :

কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো চার মাস ১২ দিন পর আবার খোলা হয়েছে।

 

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ১১টি দানবাক্স ও একটি ট্রাঙ্ক খুলে পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা, সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গহনা। এখন চলছে গণনার কাজ, যাতে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৪০০ জন।

 

জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাদরাসা ছাত্রদের সমন্বয়ে এই গণনা চলছে। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর খোলার সময় ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ২১ লাখ টাকারও বেশি।

 

এবার দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও মসজিদ কমিটির কর্মকর্তারা। দানগুলো মসজিদের দোতলায় এনে গণনা করা হচ্ছে। অংশ নিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা, রূপালী ব্যাংকের স্টাফ, মসজিদ কমিটির সদস্য, মাদরাসা ছাত্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

 

জনশ্রুতি অনুযায়ী, এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের আস্তানাকে কেন্দ্র করেই মসজিদটির উৎপত্তি। এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূরণ হয়—এমন বিশ্বাস থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ দান করে থাকে। দানের মধ্যে থাকে নগদ টাকা, গহনা, পশুপাখি এমনকি বৈদেশিক মুদ্রাও।

 

মাত্র ১০ শতাংশ জায়গায় গড়ে ওঠা মসজিদটি বর্তমানে প্রায় ৪ একর জায়গা নিয়ে একটি বিশাল ইসলামি কমপ্লেক্সে রূপ নিয়েছে। দেশের অন্যতম আয়বর্ধক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাগলা মসজিদের খ্যাতি এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, আর এর আয় সমাজসেবামূলক কাজে ব্যয় করা হয়।

 

ট্যাগ :

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ২৮ বস্তা টাকা

পোষ্টের সময় : ১১:৩৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো চার মাস ১২ দিন পর আবার খোলা হয়েছে।

 

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ১১টি দানবাক্স ও একটি ট্রাঙ্ক খুলে পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা, সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গহনা। এখন চলছে গণনার কাজ, যাতে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৪০০ জন।

 

জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাদরাসা ছাত্রদের সমন্বয়ে এই গণনা চলছে। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর খোলার সময় ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ২১ লাখ টাকারও বেশি।

 

এবার দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও মসজিদ কমিটির কর্মকর্তারা। দানগুলো মসজিদের দোতলায় এনে গণনা করা হচ্ছে। অংশ নিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা, রূপালী ব্যাংকের স্টাফ, মসজিদ কমিটির সদস্য, মাদরাসা ছাত্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

 

জনশ্রুতি অনুযায়ী, এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের আস্তানাকে কেন্দ্র করেই মসজিদটির উৎপত্তি। এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূরণ হয়—এমন বিশ্বাস থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ দান করে থাকে। দানের মধ্যে থাকে নগদ টাকা, গহনা, পশুপাখি এমনকি বৈদেশিক মুদ্রাও।

 

মাত্র ১০ শতাংশ জায়গায় গড়ে ওঠা মসজিদটি বর্তমানে প্রায় ৪ একর জায়গা নিয়ে একটি বিশাল ইসলামি কমপ্লেক্সে রূপ নিয়েছে। দেশের অন্যতম আয়বর্ধক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাগলা মসজিদের খ্যাতি এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, আর এর আয় সমাজসেবামূলক কাজে ব্যয় করা হয়।