০৭:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে আবদ্ধ? – বাকৃবি ছাত্রদলের আহবায়ক

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান বলেছেন, “ছাত্রলীগের হামলার তদন্তে গঠিত কমিটির অগ্রগতি এত ধীর কেন? প্রশাসনের ভূমিকা এত নীরব কেন? বিচার কার্য বিলম্বের মাধ্যমে কি তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে? নাকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে?”

 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির বিচার কার্যকাল বিলম্ব এবং প্রশাসনের নীরবতার প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

 

সমাবেশে আহ্বায়ক আতিকুর আরো বলেন, “আজ আমরা একটি মাত্র দাবিতে এখানে একত্র হয়েছি—ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের বিচার চাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্ঞানের জায়গা, মানবিকতা শেখার জায়গা, অথচ ছাত্রলীগ একে ভয় আর নির্যাতনের কেন্দ্রে পরিণত করেছে। বছরের পর বছর সাধারণ শিক্ষার্থী, ভিন্নমতের ছাত্র ও আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর চালিয়েছে নৃশংস নির্যাতন।”

 

 

তিনি বলেন, “আমাদের দাবি স্পষ্ট—হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যারা শিক্ষার নামে সন্ত্রাস চালিয়েছে, তাদের জন্য এই ক্যাম্পাসে কোনো জায়গা নেই। আমরা মেধাবী ছাত্র সাদের হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারও দাবি করছি।”

 

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেট থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে একটি সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

 

এ সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান, সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম শোয়াইব, সদস্য মিজানুর রহমান স্বপ্নীল, ইসমাইল হোসেন হৃদয়সহ বিভিন্ন হলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।

 

 

উল্লেখ্য, গত সাড়ে পনেরো বছরে শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া জুলুম, অন্যায় ও নির্যাতনের বিচারের জন্য গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমানকে সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারকে সদস্য সচিব করে মোট ২৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারপর গত বছরের ৯ অক্টোবর থেকে সরেজমিনে এবং ১০ অক্টোবর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বাকৃবির নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ শুরু করেছিলো তদন্ত কমিশনটি। গত বছরের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত কমিশন।

ট্যাগ :

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে আবদ্ধ? – বাকৃবি ছাত্রদলের আহবায়ক

পোষ্টের সময় : ০৪:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান বলেছেন, “ছাত্রলীগের হামলার তদন্তে গঠিত কমিটির অগ্রগতি এত ধীর কেন? প্রশাসনের ভূমিকা এত নীরব কেন? বিচার কার্য বিলম্বের মাধ্যমে কি তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে? নাকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে?”

 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির বিচার কার্যকাল বিলম্ব এবং প্রশাসনের নীরবতার প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

 

সমাবেশে আহ্বায়ক আতিকুর আরো বলেন, “আজ আমরা একটি মাত্র দাবিতে এখানে একত্র হয়েছি—ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের বিচার চাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্ঞানের জায়গা, মানবিকতা শেখার জায়গা, অথচ ছাত্রলীগ একে ভয় আর নির্যাতনের কেন্দ্রে পরিণত করেছে। বছরের পর বছর সাধারণ শিক্ষার্থী, ভিন্নমতের ছাত্র ও আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর চালিয়েছে নৃশংস নির্যাতন।”

 

 

তিনি বলেন, “আমাদের দাবি স্পষ্ট—হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যারা শিক্ষার নামে সন্ত্রাস চালিয়েছে, তাদের জন্য এই ক্যাম্পাসে কোনো জায়গা নেই। আমরা মেধাবী ছাত্র সাদের হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারও দাবি করছি।”

 

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেট থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে একটি সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

 

এ সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান, সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম শোয়াইব, সদস্য মিজানুর রহমান স্বপ্নীল, ইসমাইল হোসেন হৃদয়সহ বিভিন্ন হলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।

 

 

উল্লেখ্য, গত সাড়ে পনেরো বছরে শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া জুলুম, অন্যায় ও নির্যাতনের বিচারের জন্য গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমানকে সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারকে সদস্য সচিব করে মোট ২৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারপর গত বছরের ৯ অক্টোবর থেকে সরেজমিনে এবং ১০ অক্টোবর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বাকৃবির নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ শুরু করেছিলো তদন্ত কমিশনটি। গত বছরের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত কমিশন।