আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সৌদি আরব। এ হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে দেশটি।
সৌদি সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, রিয়াদ ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুর নিন্দা জানাচ্ছে, যা দেশটির সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মের লঙ্ঘন। এ অঞ্চলে ক্রমাগত উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং এখানকার দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির বিরুদ্ধে নিজের অটল অবস্থান ব্যক্ত করছে সৌদি আরব। সব পক্ষকে সংযত থাকার পাশাপাশি উত্তেজনা কমাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে দেশটি। খবর-রয়টার্স।
শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণে ইরানের রাজধানী তেহরান ও আশপাশের এলাকাগুলো কেঁপে ওঠে। হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালাচ্ছে। গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তার জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল।
পারস্য উপসাগরীয় দেশ ইরাক ও ওমানের মধ্যস্থতায় দুই বছরের আলোচনার পর গত বছরের মার্চ মাসে সৌদি আরব ও ইরান নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ‘সম্মত হয়েছে’। আলোচনার চূড়ান্ত পর্বে মধ্যস্থতা করে চীন। সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইরান ও চীন- দুই দেশের সঙ্গেই তাদের সম্পর্কে টানাপোড়ন আছে। আবার ইয়েমেনে যে গৃহযুদ্ধ চলছে, সেখানে ইরান এবং সৌদি আরব দুই পরস্পরবিরোধী পক্ষকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেয়।
২০১৬ সাল হতে মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই বড় দেশের মধ্যে কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সে বছর সৌদি আরব এক শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর তেহরানের সৌদি দূতাবাসে হামলা হয়েছিল। তারপর দুই দেশের সম্পর্কে নাটকীয় অবনতি ঘটে। দীর্ঘ সাত বছর পর গত বছরের জুনে সৌদি আরবে পুনরায় দূতাবাস চালু করে ইরান। কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটলের কারণে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছিল ইরান।