মঞ্জুরুল ইসলাম :
ময়মনসিংহ নগরীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাইভেটকার চালকসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ ৫ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আব্দুল কুদ্দুস নামে একজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান। বর্তমানে দগ্ধ দুজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি ৪ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন, প্রাইভেটকার চালক সদর উপজেলার কিছমত গ্রামের বাসিন্দা হিমেল, রহমতপুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস ও সদর উপজেলার আব্দুস সালামের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৪৫)।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খান তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুত্র জানায়, ঘটনার সময় ঢাকা থেকে আনা একটি এলপিজি গ্যাসের ট্যাঙ্ক লড়ি থেকে গ্যাস সিলিন্ডার নামানো হচ্ছিল। পাশাপাশি একটু দূরেই একটি প্রাইভেটকারে গ্যাস দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় গ্যাস লিকেজ থেকে হঠাৎ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ৭টি গাড়ী অগ্নিকান্ডে ভস্মিভূত হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি প্রাইভেটকার, তিনটি সিএনজিসহ অন্যান্য গাড়ি রয়েছে।
এসময় ভস্মিভূত প্রাইভেটকার থেকে চালক হিমেলের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এক নারীসহ ৭ জন দগ্ধ হন। তাদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এর আগে ওই দিন বেলা পৌনে ৩ টার দিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের টানা দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট লুৎফুন্নাহার নাহারকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।