ময়মনসিংহ ০৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন : নিউ ইয়র্কে ব্যালটে ঠাঁই পেলো বাংলা

যুক্তরাষ্ট্রে ভোটারের লাইন। ফাইল ছবি।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে নিউইয়র্ক সিটির ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর সেই চারটির একটি হচ্ছে বাংলা ভাষা।

নিউ ইয়র্ক সিটি ইলেকশন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান বলেছেন, ভোটারদের কথা বিবেচনা করে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি আলাদা ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে চীনা, স্প্যানিশ, কোরীয় ও বাংলা ভাষা।

নিউইয়র্কে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ বাস করেন। সেখানে প্রায় দুই শতাধিক ভাষা প্রচলিত আছে। তাদের সিংহভাগ আবার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এক লক্ষেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বাস করেন সেখানে। তাদের বসবাস মূলত নিউইয়র্কের ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রঙ্কসে। ভোটারদের সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে ভাষা সংক্রান্ত সেবা প্রদানে সেখানকার কর্তৃপক্ষ আইনত বাধ্য।

ভাষার প্রতিবন্ধকতা হ্রাসে বৃহত্তর এক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ব্যালটে বাংলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০১৩ সালে করা এক মামলার মাধ্যমে বিষয়টি প্রথম সবার নজরে আনা হয়।

সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণ এশীয়দের বসবাস আছে এমন এলাকায় ভাষাগত সহায়তার প্রয়োজনীয়তার দিকটি ওই মাওলায় তুলে ধরা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে কুইনসে প্রথমবারের মতো ব্যালট পেপারে বাংলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভোটপ্রদান অধিকার আইন, ১৯৬৫ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই চারটি ভাষা অন্তর্ভুক্তির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ। ওই আইন অনুযায়ী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যগণ সম্পূর্ণরূপে ভাষাগত সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখেন।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, ব্যালটে অন্যান্য ভাষা স্থান দেওয়ার মধ্য দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের আইন ও নিয়মে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। ২০২০ সালে যেমন হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে ইলিনয় প্রদেশের ব্যালটে অন্য ভাষার সঙ্গে হিন্দিও রাখা হয়েছিল।

ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে রায়ান বলেছেন, অন্যান্য ভারতীয় ভাষাকে বাদ দিয়ে শুধু বাংলাকে বেছে নেওয়ায় অন্যান্য ভাষাভাষী ভারতীয়রা হয়ত মনঃক্ষুণ্ন হতে পারেন। কিন্তু কাউকে আঘাত দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

ট্যাগ :

দৈনিক ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের এক দশকে পদার্পণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন : নিউ ইয়র্কে ব্যালটে ঠাঁই পেলো বাংলা

পোষ্টের সময় : ০২:২৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে নিউইয়র্ক সিটির ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর সেই চারটির একটি হচ্ছে বাংলা ভাষা।

নিউ ইয়র্ক সিটি ইলেকশন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান বলেছেন, ভোটারদের কথা বিবেচনা করে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি আলাদা ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে চীনা, স্প্যানিশ, কোরীয় ও বাংলা ভাষা।

নিউইয়র্কে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ বাস করেন। সেখানে প্রায় দুই শতাধিক ভাষা প্রচলিত আছে। তাদের সিংহভাগ আবার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এক লক্ষেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বাস করেন সেখানে। তাদের বসবাস মূলত নিউইয়র্কের ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রঙ্কসে। ভোটারদের সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে ভাষা সংক্রান্ত সেবা প্রদানে সেখানকার কর্তৃপক্ষ আইনত বাধ্য।

ভাষার প্রতিবন্ধকতা হ্রাসে বৃহত্তর এক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ব্যালটে বাংলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০১৩ সালে করা এক মামলার মাধ্যমে বিষয়টি প্রথম সবার নজরে আনা হয়।

সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণ এশীয়দের বসবাস আছে এমন এলাকায় ভাষাগত সহায়তার প্রয়োজনীয়তার দিকটি ওই মাওলায় তুলে ধরা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে কুইনসে প্রথমবারের মতো ব্যালট পেপারে বাংলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভোটপ্রদান অধিকার আইন, ১৯৬৫ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই চারটি ভাষা অন্তর্ভুক্তির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ। ওই আইন অনুযায়ী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যগণ সম্পূর্ণরূপে ভাষাগত সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখেন।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, ব্যালটে অন্যান্য ভাষা স্থান দেওয়ার মধ্য দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের আইন ও নিয়মে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। ২০২০ সালে যেমন হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে ইলিনয় প্রদেশের ব্যালটে অন্য ভাষার সঙ্গে হিন্দিও রাখা হয়েছিল।

ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে রায়ান বলেছেন, অন্যান্য ভারতীয় ভাষাকে বাদ দিয়ে শুধু বাংলাকে বেছে নেওয়ায় অন্যান্য ভাষাভাষী ভারতীয়রা হয়ত মনঃক্ষুণ্ন হতে পারেন। কিন্তু কাউকে আঘাত দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।