ময়মনসিংহ ১০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থনৈতিক অবস্থার ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করা হবে, দেবপ্রিয়কে প্রধান করে কমিটি

বিগত সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে শ্বেতপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান করা হয়েছে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে।

শ্বেতপত্রের ভিত্তিতে আগামীর পথ নকশাও করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (২১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি’। এ কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরামর্শ করে কমিটিতে প্রয়োজনীয় সদস্যদের মনোনীত করবেন।

বিগত সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে শ্বেতপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান করা হয়েছে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে।

শ্বেতপত্রের ভিত্তিতে আগামীর পথ নকশাও করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (২১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি’। এ কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরামর্শ করে কমিটিতে প্রয়োজনীয় সদস্যদের মনোনীত করবেন।

এ কমিটি ৯০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করবে।
প্রস্তাবিত শ্বেতপত্রে প্রধানত ছয়টি বিষয়ে আলোকপাত করার প্রস্তাব রেখেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

সেগুলো হচ্ছে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা, বাহ্যিক ভারসাম্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান।
শ্বেতপত্র প্রণয়নের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিগত সরকারের সার্বিক অব্যবস্থাপনার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করতে এ সরকারের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অর্থনীতি পুনরায় সচল করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নিরসনে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। এছাড়া নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি দূর, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানো, কর ও শুল্ক নীতির সংস্কার ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ইত্যাদি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার একটি সামগ্রিক চিত্র থাকা প্রয়োজন।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপির তুলনায় কর সংগ্রহ বাড়িয়ে ১৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও গত ছয়-সাত বছরে এ অনুপাত উল্টো ১১ শতাংশ থেকে কমে ৮ শতাংশে নেমেছে। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার এটি একটি দিক। সামগ্রিকভাবে দুর্নীতি, অর্থ পাচারের অবাধ সুযোগ, বাজার সিন্ডিকেট ইত্যাদির ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে পড়ে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা অবৈতনিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিকল্পনা কমিশন কমপ্লেক্সের কোনো একটি ভবনে হবে কমিটির দপ্তর। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ। সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর প্রস্তাবিত কমিটির চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

মাজারের শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিসিদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

অর্থনৈতিক অবস্থার ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করা হবে, দেবপ্রিয়কে প্রধান করে কমিটি

Update Time : ০৮:১২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

বিগত সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে শ্বেতপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান করা হয়েছে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে।

শ্বেতপত্রের ভিত্তিতে আগামীর পথ নকশাও করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (২১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি’। এ কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরামর্শ করে কমিটিতে প্রয়োজনীয় সদস্যদের মনোনীত করবেন।

বিগত সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে শ্বেতপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান করা হয়েছে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে।

শ্বেতপত্রের ভিত্তিতে আগামীর পথ নকশাও করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (২১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি’। এ কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরামর্শ করে কমিটিতে প্রয়োজনীয় সদস্যদের মনোনীত করবেন।

এ কমিটি ৯০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করবে।
প্রস্তাবিত শ্বেতপত্রে প্রধানত ছয়টি বিষয়ে আলোকপাত করার প্রস্তাব রেখেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

সেগুলো হচ্ছে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা, বাহ্যিক ভারসাম্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান।
শ্বেতপত্র প্রণয়নের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিগত সরকারের সার্বিক অব্যবস্থাপনার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করতে এ সরকারের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অর্থনীতি পুনরায় সচল করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নিরসনে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। এছাড়া নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি দূর, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানো, কর ও শুল্ক নীতির সংস্কার ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ইত্যাদি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার একটি সামগ্রিক চিত্র থাকা প্রয়োজন।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপির তুলনায় কর সংগ্রহ বাড়িয়ে ১৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও গত ছয়-সাত বছরে এ অনুপাত উল্টো ১১ শতাংশ থেকে কমে ৮ শতাংশে নেমেছে। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার এটি একটি দিক। সামগ্রিকভাবে দুর্নীতি, অর্থ পাচারের অবাধ সুযোগ, বাজার সিন্ডিকেট ইত্যাদির ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে পড়ে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা অবৈতনিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিকল্পনা কমিশন কমপ্লেক্সের কোনো একটি ভবনে হবে কমিটির দপ্তর। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ। সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর প্রস্তাবিত কমিটির চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করবে।