ময়মনসিংহ ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইগাতীতে বালু মহালের রাজস্ব আদায়ের টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

বালু মহালের রাজস্ব আদায়ের ঘর।

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশী নদীর বালু মহালের রাজস্ব আদায় ঘর থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যাবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও নতুন ও পুরাতন বালু বিক্রির দুইটি রাজস্ব আদায়ের বইও নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, চলতি বছর প্রায় দেড় কোটি টাকায় মহারশি নদীর বালু মহালটি ইজারা দেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে বালু মহালটি ইজারা পান শেরপুরের আসাদুজ্জামান স্বপন।

বাংলা সালের ১ বৈশাখ থেকে বালু উত্তোলন শুরু হয়। উত্তোলন ও বিক্রিত বালুর রাজস্ব আদায়ের জন্য ঝিনাইগাতী নলকুড়া ইউনিয়নের হলদি গ্রামে একটি ঘর ভাড়া নেয়া হয়েছে।
ম্যানেজার আশরাফুল ও সহকারী ম্যানেজার বাবু জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলা শ্রমিকদলের সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন ওরফে আফছারের নেতৃত্বে শের আলী, মোহাম্মদ আলী, ইউসুফ আলী, তারিকুল ইসলাম, খবির উদ্দিন, নুরুজ্জামান, আছাদ আলী ও যুগ্ম আহব্বায়ক শাহীন ড্রাইভার সহ প্রায় ১৫/২০ জন লোক বালু মহালের রাজস্ব আদায় ঘরে হামলা চালায়। আমাদের গায়ে হাত তুলে এবং ওই রাজস্ব আদায় ঘরের ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা ও রাজস্ব আদায়ের ২টি বই ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পরপরই বালু মহলের সাথে জড়িত শতাধিক বালু শ্রমিকের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। যেকোনো মুহূর্তে এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে এলাকায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

আনোয়ার হোসেন ওরফে আফছারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি একজন উপজেলা শ্রমিকদলের সদস্য এবং বিএনপি রাজনীতির সাথে জরিত। আমি জেলা নেতাদের আদেশেই অফিস থেকে দুইটি চালান ব্ই নিয়েছি কিন্তু কোন টাকা নেইনি।’

উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সেলিম আহমেদ জানান, আনোয়ার হোসেন নামে সদস্য আছে কিনা সঠিক জানা নেই এমনকি তার সাথে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারিনি। যদি এমনটি করে থাকে দল থেকে কঠোর ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করা হবে।

 

শেরপুর জেলা শ্রমিকদলের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম জোনের সাথে কথা হলে তিনি বললেন, আনোয়ার হোসেন উপজেলা শ্রমিকদলের সদস্য হিসেবে আছে কিনা আমাদের সঠিক জানা নেই। আর রয়েলটি অফিসে চাঁদাবাজী বিষয়ে জেলা কমিটির কেউ অবগত না। এই বিষয়ে সঠিক প্রমাণ পাওয়া গেলে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ট্যাগ :

দৈনিক ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের এক দশকে পদার্পণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার

ঝিনাইগাতীতে বালু মহালের রাজস্ব আদায়ের টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

পোষ্টের সময় : ০২:৪৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশী নদীর বালু মহালের রাজস্ব আদায় ঘর থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যাবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও নতুন ও পুরাতন বালু বিক্রির দুইটি রাজস্ব আদায়ের বইও নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, চলতি বছর প্রায় দেড় কোটি টাকায় মহারশি নদীর বালু মহালটি ইজারা দেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে বালু মহালটি ইজারা পান শেরপুরের আসাদুজ্জামান স্বপন।

বাংলা সালের ১ বৈশাখ থেকে বালু উত্তোলন শুরু হয়। উত্তোলন ও বিক্রিত বালুর রাজস্ব আদায়ের জন্য ঝিনাইগাতী নলকুড়া ইউনিয়নের হলদি গ্রামে একটি ঘর ভাড়া নেয়া হয়েছে।
ম্যানেজার আশরাফুল ও সহকারী ম্যানেজার বাবু জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলা শ্রমিকদলের সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন ওরফে আফছারের নেতৃত্বে শের আলী, মোহাম্মদ আলী, ইউসুফ আলী, তারিকুল ইসলাম, খবির উদ্দিন, নুরুজ্জামান, আছাদ আলী ও যুগ্ম আহব্বায়ক শাহীন ড্রাইভার সহ প্রায় ১৫/২০ জন লোক বালু মহালের রাজস্ব আদায় ঘরে হামলা চালায়। আমাদের গায়ে হাত তুলে এবং ওই রাজস্ব আদায় ঘরের ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা ও রাজস্ব আদায়ের ২টি বই ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পরপরই বালু মহলের সাথে জড়িত শতাধিক বালু শ্রমিকের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। যেকোনো মুহূর্তে এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে এলাকায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

আনোয়ার হোসেন ওরফে আফছারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি একজন উপজেলা শ্রমিকদলের সদস্য এবং বিএনপি রাজনীতির সাথে জরিত। আমি জেলা নেতাদের আদেশেই অফিস থেকে দুইটি চালান ব্ই নিয়েছি কিন্তু কোন টাকা নেইনি।’

উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সেলিম আহমেদ জানান, আনোয়ার হোসেন নামে সদস্য আছে কিনা সঠিক জানা নেই এমনকি তার সাথে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারিনি। যদি এমনটি করে থাকে দল থেকে কঠোর ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করা হবে।

 

শেরপুর জেলা শ্রমিকদলের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম জোনের সাথে কথা হলে তিনি বললেন, আনোয়ার হোসেন উপজেলা শ্রমিকদলের সদস্য হিসেবে আছে কিনা আমাদের সঠিক জানা নেই। আর রয়েলটি অফিসে চাঁদাবাজী বিষয়ে জেলা কমিটির কেউ অবগত না। এই বিষয়ে সঠিক প্রমাণ পাওয়া গেলে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।