০৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধ: গিনিতে স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে নিহত ৫৬

গিনির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি ফুটবল ম্যাচে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধের ঘটনায় সহিংসতা ও পদদলিত হয়ে ৫৬ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সরকারের পক্ষ থেকে নিহতের এই প্রাথমিক সংখ্যা জানানো হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নজেরেকোরে শহরের একটি স্টেডিয়ামে গিনির সামরিক নেতা মামাদি দুম্বুয়ার সম্মানে আয়োজিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্টেডিয়ামে ভক্তরা পাথর ছুড়তে শুরু করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ও পদদলনের ঘটনা ঘটে।

সরকারের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হবে। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিওতে দেখা গেছে, দর্শকরা উঁচু দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করছে।

গোপনীয়তার শর্তে শহর প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু। পুলিশের টিয়ার গ্যাস ছোড়ার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে কিছু অভিভাবক নিহতদের লাশ আনতে যান। এতে নিহতের সংখ্যা গণনায় জটিলতা সৃষ্টি করে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ভুক্তভোগীদের লাশ মাটিতে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। একটি ভিডিওতে এক ডজনের বেশি নিথর দেহ দেখা গেছে, যাদের মধ্যে অনেকেই শিশু। তবে ভিডিওগুলো রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি।

এদিকে, বিরোধী দল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর চেঞ্জ অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি দাবি করেছে, সামরিক নেতা দুম্বুয়ার রাজনৈতিক সমর্থন বাড়াতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। যা সংবিধান অনুযায়ী প্রতিশ্রুত নির্বাচনের আগে অস্থায়ী সরকার পরিচালনার নীতির পরিপন্থি।

সরকারের এই অভিযোগ সম্পর্কে সামরিক জান্তার পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধ: গিনিতে স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে নিহত ৫৬

পোষ্টের সময় : ০৫:২৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

গিনির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি ফুটবল ম্যাচে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধের ঘটনায় সহিংসতা ও পদদলিত হয়ে ৫৬ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সরকারের পক্ষ থেকে নিহতের এই প্রাথমিক সংখ্যা জানানো হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নজেরেকোরে শহরের একটি স্টেডিয়ামে গিনির সামরিক নেতা মামাদি দুম্বুয়ার সম্মানে আয়োজিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্টেডিয়ামে ভক্তরা পাথর ছুড়তে শুরু করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ও পদদলনের ঘটনা ঘটে।

সরকারের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হবে। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিওতে দেখা গেছে, দর্শকরা উঁচু দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করছে।

গোপনীয়তার শর্তে শহর প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু। পুলিশের টিয়ার গ্যাস ছোড়ার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে কিছু অভিভাবক নিহতদের লাশ আনতে যান। এতে নিহতের সংখ্যা গণনায় জটিলতা সৃষ্টি করে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ভুক্তভোগীদের লাশ মাটিতে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। একটি ভিডিওতে এক ডজনের বেশি নিথর দেহ দেখা গেছে, যাদের মধ্যে অনেকেই শিশু। তবে ভিডিওগুলো রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি।

এদিকে, বিরোধী দল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর চেঞ্জ অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি দাবি করেছে, সামরিক নেতা দুম্বুয়ার রাজনৈতিক সমর্থন বাড়াতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। যা সংবিধান অনুযায়ী প্রতিশ্রুত নির্বাচনের আগে অস্থায়ী সরকার পরিচালনার নীতির পরিপন্থি।

সরকারের এই অভিযোগ সম্পর্কে সামরিক জান্তার পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।