ময়মনসিংহ ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাকি যোদ্ধারা যোগ দিয়েছে

ইরান সমর্থিত শত শত ইরাকি যোদ্ধা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে । সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের দমন করতে রুশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় ইরানের মিত্র আঞ্চলিক মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে সোমবার নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে। তবে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর এখনই এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নাই বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইরাকি ও সিরিয়ান সূত্র নিশ্চিত করেছে, সিরিয়ায় আরও ইরান সমর্থিত ইরাকি যোদ্ধা মোতায়েন করা হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো’ যাতে আসাদ সরকারে সহায়তায় এগিয়ে আসে সেজন্য তেহরান ‘প্রয়োজনীয় যে কোনও সহায়তা প্রদান দিয়ে যাবে’।

রবিবার রাতে আনুষ্ঠানিক সীমান্ত পারাপার এড়াতে একটি মাটির রাস্তা ব্যবহার করে সিরিয়ায় প্রবেশ করে অন্তত ৩০০ ইরাকি যোদ্ধা। এই যোদ্ধাদের বেশিরভাগই ইরাকের বাদর এবং নুজাবা গোষ্ঠীর সদস্য।

ইরাকের দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, তারা একটি শিয়া মাজার রক্ষা করার জন্য সেখানে গেছে।

একজন সিনিয়র সিরিয়ান সামরিক সূত্র জানিয়েছেন, বিমান হামলা এড়াতে যোদ্ধারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন, উত্তরের ফ্রন্ট লাইনে আমাদের সঙ্গীদের সহায়তার জন্য আরও নতুন সেনা পাঠানো হচ্ছে।

তবে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে আসাদের সামরিক জোটে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি এবং ইরান-সমর্থিত সবচেয়ে দক্ষ বাহিনী হিসেবে পরিচিত। গোষ্ঠিটি এখনও সিরিয়ায় হস্তক্ষেপের অনুরোধ পায়নি। তিনটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ইসরায়েলের সাথে ক্লান্তিকর সংঘাতের পর তারা নতুন বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত নয়।

২০১১ সালে আসাদ-বিরোধী বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর সহযোগিতা সরকারের পক্ষে সাফল্য এনে দিয়েছে। বিশেষ করে ২০১৬ সালে এক অবরোধের মাধ্যমে সরকার আলেপ্পোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল যা সিরিয়া যুদ্ধের একটি প্রধান মোড় ছিল। হঠাৎ করেই বিদ্রোহীদের আলেপ্পো শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় এখন সিরিয়ার সরকার নতুন পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন।

এমনকি বিদেশে থাকা সিরিয়ার প্রধান বিরোধী গোষ্ঠীর প্রধান হাদি আল-বাহরা রয়টার্সকে বলেছেন, বিদ্রোহীরা এত দ্রুত শহরটি দখল করতে পেরেছে কারণ হিজবুল্লাহ এবং অন্যান্য ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে ব্যস্ত ছিল।

তিনি বলেন, গত বছর থেকেই আলেপ্পোতে হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তবে গাজার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণে তা স্থগিত হয়।

আসাদ সরকার বেশিরভাগ এলাকা এবং সব বড় শহরের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ২০২০ সাল থেকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ স্থগিত ছিল।

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাকি যোদ্ধারা যোগ দিয়েছে

পোষ্টের সময় : ০৩:৪০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ইরান সমর্থিত শত শত ইরাকি যোদ্ধা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে । সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের দমন করতে রুশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় ইরানের মিত্র আঞ্চলিক মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে সোমবার নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে। তবে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর এখনই এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নাই বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইরাকি ও সিরিয়ান সূত্র নিশ্চিত করেছে, সিরিয়ায় আরও ইরান সমর্থিত ইরাকি যোদ্ধা মোতায়েন করা হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো’ যাতে আসাদ সরকারে সহায়তায় এগিয়ে আসে সেজন্য তেহরান ‘প্রয়োজনীয় যে কোনও সহায়তা প্রদান দিয়ে যাবে’।

রবিবার রাতে আনুষ্ঠানিক সীমান্ত পারাপার এড়াতে একটি মাটির রাস্তা ব্যবহার করে সিরিয়ায় প্রবেশ করে অন্তত ৩০০ ইরাকি যোদ্ধা। এই যোদ্ধাদের বেশিরভাগই ইরাকের বাদর এবং নুজাবা গোষ্ঠীর সদস্য।

ইরাকের দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, তারা একটি শিয়া মাজার রক্ষা করার জন্য সেখানে গেছে।

একজন সিনিয়র সিরিয়ান সামরিক সূত্র জানিয়েছেন, বিমান হামলা এড়াতে যোদ্ধারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন, উত্তরের ফ্রন্ট লাইনে আমাদের সঙ্গীদের সহায়তার জন্য আরও নতুন সেনা পাঠানো হচ্ছে।

তবে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে আসাদের সামরিক জোটে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি এবং ইরান-সমর্থিত সবচেয়ে দক্ষ বাহিনী হিসেবে পরিচিত। গোষ্ঠিটি এখনও সিরিয়ায় হস্তক্ষেপের অনুরোধ পায়নি। তিনটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ইসরায়েলের সাথে ক্লান্তিকর সংঘাতের পর তারা নতুন বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত নয়।

২০১১ সালে আসাদ-বিরোধী বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর সহযোগিতা সরকারের পক্ষে সাফল্য এনে দিয়েছে। বিশেষ করে ২০১৬ সালে এক অবরোধের মাধ্যমে সরকার আলেপ্পোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল যা সিরিয়া যুদ্ধের একটি প্রধান মোড় ছিল। হঠাৎ করেই বিদ্রোহীদের আলেপ্পো শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় এখন সিরিয়ার সরকার নতুন পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন।

এমনকি বিদেশে থাকা সিরিয়ার প্রধান বিরোধী গোষ্ঠীর প্রধান হাদি আল-বাহরা রয়টার্সকে বলেছেন, বিদ্রোহীরা এত দ্রুত শহরটি দখল করতে পেরেছে কারণ হিজবুল্লাহ এবং অন্যান্য ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে ব্যস্ত ছিল।

তিনি বলেন, গত বছর থেকেই আলেপ্পোতে হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তবে গাজার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণে তা স্থগিত হয়।

আসাদ সরকার বেশিরভাগ এলাকা এবং সব বড় শহরের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ২০২০ সাল থেকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ স্থগিত ছিল।