০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাণীর প্রতি রাজার ভালোবাসার নিদর্শন সুতানাল দীঘি

সুতানাল দীঘি।

পৃথিবীতে ইতিহাস কাঁপিয়ে দেওয়া প্রেম কাহিনী অনেক আছে। কিন্তু এমন প্রেম কাহিনী খুব কমই আছে যার সাক্ষী এখনো পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে ঠায় দাঁড়িয়ে। মুঘল স¤্রাট শাহজাহানের অমর সৃষ্টি তাজমহলের কথা যদি ধরা হয়, তাহলে এমন নিদর্শন পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এ অনন্য কীর্তির পেছনে ছিল একটি প্রেমের গল্প। আর এক প্রেমের উজ্জ্বল নিদর্শন কক্সবাজারের টেকনাফের মাথিনের কূপ। টেকনাফ থানায় অবস্থিত কূপটির নিথর জলে মিশে আছে বিষাদ আর বেদনাবিধুর এক অমর প্রেমের গল্প। জমিদার কন্যা মাথিন ও পুলিশ কর্মকর্তা ধীরাজ ভট্টাচার্যের অতৃপ্ত প্রেমের স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই কূপটি। প্রেমের এই নিদর্শন দেখতে প্রতিবছর ভীড় করে পর্যটকরা। তেমনি ভালোবেসে ৬০ একরের এক দীঘি খনন করেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায়। দীঘিটির নাম সুতানাল, কমলা রাণী বা বিরহিনী দীঘি। তবে এলাকায় সুতানাল পুকুর নামে পরিচিত।

দীঘিটিকে কখন কোন উদ্দেশে খনন করেছিলেন তার ইতিহাসনির্ভর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার প্রবীণদের কাছ থেকে জানা যায়,মোগল আমলের শেষের দিকে এ গ্রামে সামন্ত রাজার বাড়ি ছিল। আবার কেউ বলেন এখানে বৌদ্ধ বিহার ছিল। কথিত আছে সামন্ত রাজার স্ত্রী কমলারাণীকে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশের জন্য উপহার দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাণী তখন রাজাকে বলেন, ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে আপনি এমন কিছু দান করুন যা যুগযুগ ধরে মানুষ মনে রাখে। সে মতেই রাজা তখন সিদ্ধান্ত নিলেন অবিরাম একরাত একদিন সুতা কাটা হবে। যে পরিমান সুতা হবে সেই সুতার সম পরিমান লম্বা এবং প্রশস্ত একটি দীঘি খনন করা হবে। এলাকার জনগণ দীঘির জল ব্যবহার করবে। আর তোমাকে স্বরণ করবে। এরপর দিনের পর দিন খননকাজ চলে। নির্মিত হয় বিশাল এক দীঘি। এক পাড়ে দাঁড়ালে অন্য পাড়ের লোক চেনা যায় না।

 

কথিত আছে খননের পর দীঘিতে জল ওঠেনি। জল না ওঠায় সবাই চিন্তিত। কমলারাণি তখন স্বপ্নাদেশ পান “গঙ্গাপুজা কর নরবলি দিয়া,তবেই উঠিবে দীঘি জলেতে ভরিয়া।” স্বপ্ন দেখে রাণি চিন্তিত হয়ে পড়েন। নরবলি না দিয়ে রাণি গঙ্গামাতাকে প্রণতি জানানোর জন্য মহাধুমধামে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে দীঘির মাঝখানে গঙ্গাপুজার আয়োজন করা হয়। কমলারাণি গঙ্গামাতার পায়ে প্রার্থনা জানিয়ে বলেন,“কোন মায়ের বুক করিয়া খালি,তোমারে দিব মাতা নরবলি। আমি যে সন্তানের মা,আশায় করিয়া ক্ষমা কোলে তুলিয়া নাও। মা পুর্ণকর তোমার পুজা।” হঠাৎ বজ্রপাতের শব্দে দীঘিতে জল উঠতে লাগলো। লোকজন দৌড়ে পাড়ে উঠতে পাড়লেও দীঘির টইটুম্বুর জলে রাণি তলিয়ে গেলেন। কমলা রাণি আর তীরে উঠতে পাড়েনি। সেই থেকে কমলা রাণি বা সুতানাল দীঘি নামে পরিচিতি পায়। “নালিতাবাড়ী মাটি মানুষ এবং আমি”সাবেক এমপি ও মন্ত্রী অধ্যাপক আবদুস সালাম রচিত বই থেকে জানাযায়,খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দিতে শালমারা গ্রামে সশাল নামের এক গাড়ো রাজা রাজত্ব করতেন। সামশ ইলিয়াস শাহ তখন বাংলার শাসন কর্তা। সশাল রাজার রাজধানী ছিল শালমারা গ্রামে । ১৩৫১ সালে তিনি সশাল বিরোদ্ধে সেনা প্রেরন করেন। রাজা পলায়ন করে আশ্রয় নেন জঙ্গলে। পরবর্তীকালে সশাল রাজা শত্রুর আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার পর দিঘির মাঝখানে ছোট্র একটি ঘর তৈরি করে দীঘির চারদিকে পরিখার মতো খনন করেন। রাজা যখন সেখানে অবস্থান করতেন তখন তার বাহিনী বড় বড় ডিঙি নৌকা নিয়ে দিঘির চারদিকে পাহাড়া দিত। কালক্রমে, ঐভুখন্ডটি ধসে দিঘিতে রুপনিয়েছে। রাজার শেষ বংশধর ছিলেন রাণি বিরহীনি। দিঘিটি রাণি বিরহীনি নামেও পরিচিতি পায়। ১৯৪০ সালে সরকারী ভুমি জরিপে দিঘিটি বিরহীনি নামেই রেকর্ড হয়েছে। তবে দীঘিটি খননের সত্যিকার দিন,ক্ষন,ইতিহাস জানা যায়নি।

১৯৮৩ সালে এই দীঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ‘সুতানালি দীঘিরপাড় ভুমিহীন মজাপুকুর সমবায় সমিতি।’ বর্তমানে সমিতির সদস্য সংখ্যা ১১৮ জন। সব সদস্যই দীঘির পাড়ে বসবাস করেন। দীঘিটি ১৯৮৩ সাল থেকে ভুমিহীন সমিতি প্রতি বছর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতো। কিন্ত ২০০৪ সালে যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তগণ যুব সমিতি নামে নাম দিয়ে দীঘিটি দখলে নেওয়ার জন্য একটা মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি মহামান্য হাইকোর্টে চলমান রয়েছে। তাই দীঘিটি জেলা প্রশাসকের খাস কালেকশন হিসেবে ভুমিহীন সমিতির দখলে রয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নে মধ্যমকুড়া গ্রামে ৬০ একর জমির উপর দীঘিটি অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার দুরে দিঘিটির অবস্থান। দীঘিটি কেন্দ্র করে প্রতি বছর সৌখিন মৎস্য শিকারিদের মিলন মেলায় পরিনিত হয়,দুরদুরান্ত থেকে মৎস্য শিকারী ও উৎসুক মানুষের আনাগোনায় এলাকার পরিবেশ হয়ে ওঠে উৎসব মুখর। এ দিঘির মাছ খুব সুস্বাদু বলে প্রশংসা রয়েছে। তবে এলাকাবাসী দাবী ও সুধী মহলের অভিমত পর্যটক আকর্ষনে ঐতিহাসিক এ দীঘিকে ঘিরে সরকারী ভাবে আজো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পুকুরের পাড়ে চারদিকে পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য রাস্তা বা বসার ব্যবস্থা করা হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন দেখতে আসতো। সরকারী ভাবে সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে এই পুকুরকে কেন্দ্র করে দেশের জন্য একটা ঐতিহাসিক দর্শনীয় নিদর্শন হতে পাড়ে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. মাসুদ রানা বলেন, দীঘিটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য খুব শিঘ্রই সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

আটপাড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ অনুষ্ঠিত

রাণীর প্রতি রাজার ভালোবাসার নিদর্শন সুতানাল দীঘি

পোষ্টের সময় : ০৫:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পৃথিবীতে ইতিহাস কাঁপিয়ে দেওয়া প্রেম কাহিনী অনেক আছে। কিন্তু এমন প্রেম কাহিনী খুব কমই আছে যার সাক্ষী এখনো পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে ঠায় দাঁড়িয়ে। মুঘল স¤্রাট শাহজাহানের অমর সৃষ্টি তাজমহলের কথা যদি ধরা হয়, তাহলে এমন নিদর্শন পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এ অনন্য কীর্তির পেছনে ছিল একটি প্রেমের গল্প। আর এক প্রেমের উজ্জ্বল নিদর্শন কক্সবাজারের টেকনাফের মাথিনের কূপ। টেকনাফ থানায় অবস্থিত কূপটির নিথর জলে মিশে আছে বিষাদ আর বেদনাবিধুর এক অমর প্রেমের গল্প। জমিদার কন্যা মাথিন ও পুলিশ কর্মকর্তা ধীরাজ ভট্টাচার্যের অতৃপ্ত প্রেমের স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই কূপটি। প্রেমের এই নিদর্শন দেখতে প্রতিবছর ভীড় করে পর্যটকরা। তেমনি ভালোবেসে ৬০ একরের এক দীঘি খনন করেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায়। দীঘিটির নাম সুতানাল, কমলা রাণী বা বিরহিনী দীঘি। তবে এলাকায় সুতানাল পুকুর নামে পরিচিত।

দীঘিটিকে কখন কোন উদ্দেশে খনন করেছিলেন তার ইতিহাসনির্ভর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার প্রবীণদের কাছ থেকে জানা যায়,মোগল আমলের শেষের দিকে এ গ্রামে সামন্ত রাজার বাড়ি ছিল। আবার কেউ বলেন এখানে বৌদ্ধ বিহার ছিল। কথিত আছে সামন্ত রাজার স্ত্রী কমলারাণীকে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশের জন্য উপহার দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাণী তখন রাজাকে বলেন, ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে আপনি এমন কিছু দান করুন যা যুগযুগ ধরে মানুষ মনে রাখে। সে মতেই রাজা তখন সিদ্ধান্ত নিলেন অবিরাম একরাত একদিন সুতা কাটা হবে। যে পরিমান সুতা হবে সেই সুতার সম পরিমান লম্বা এবং প্রশস্ত একটি দীঘি খনন করা হবে। এলাকার জনগণ দীঘির জল ব্যবহার করবে। আর তোমাকে স্বরণ করবে। এরপর দিনের পর দিন খননকাজ চলে। নির্মিত হয় বিশাল এক দীঘি। এক পাড়ে দাঁড়ালে অন্য পাড়ের লোক চেনা যায় না।

 

কথিত আছে খননের পর দীঘিতে জল ওঠেনি। জল না ওঠায় সবাই চিন্তিত। কমলারাণি তখন স্বপ্নাদেশ পান “গঙ্গাপুজা কর নরবলি দিয়া,তবেই উঠিবে দীঘি জলেতে ভরিয়া।” স্বপ্ন দেখে রাণি চিন্তিত হয়ে পড়েন। নরবলি না দিয়ে রাণি গঙ্গামাতাকে প্রণতি জানানোর জন্য মহাধুমধামে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে দীঘির মাঝখানে গঙ্গাপুজার আয়োজন করা হয়। কমলারাণি গঙ্গামাতার পায়ে প্রার্থনা জানিয়ে বলেন,“কোন মায়ের বুক করিয়া খালি,তোমারে দিব মাতা নরবলি। আমি যে সন্তানের মা,আশায় করিয়া ক্ষমা কোলে তুলিয়া নাও। মা পুর্ণকর তোমার পুজা।” হঠাৎ বজ্রপাতের শব্দে দীঘিতে জল উঠতে লাগলো। লোকজন দৌড়ে পাড়ে উঠতে পাড়লেও দীঘির টইটুম্বুর জলে রাণি তলিয়ে গেলেন। কমলা রাণি আর তীরে উঠতে পাড়েনি। সেই থেকে কমলা রাণি বা সুতানাল দীঘি নামে পরিচিতি পায়। “নালিতাবাড়ী মাটি মানুষ এবং আমি”সাবেক এমপি ও মন্ত্রী অধ্যাপক আবদুস সালাম রচিত বই থেকে জানাযায়,খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দিতে শালমারা গ্রামে সশাল নামের এক গাড়ো রাজা রাজত্ব করতেন। সামশ ইলিয়াস শাহ তখন বাংলার শাসন কর্তা। সশাল রাজার রাজধানী ছিল শালমারা গ্রামে । ১৩৫১ সালে তিনি সশাল বিরোদ্ধে সেনা প্রেরন করেন। রাজা পলায়ন করে আশ্রয় নেন জঙ্গলে। পরবর্তীকালে সশাল রাজা শত্রুর আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার পর দিঘির মাঝখানে ছোট্র একটি ঘর তৈরি করে দীঘির চারদিকে পরিখার মতো খনন করেন। রাজা যখন সেখানে অবস্থান করতেন তখন তার বাহিনী বড় বড় ডিঙি নৌকা নিয়ে দিঘির চারদিকে পাহাড়া দিত। কালক্রমে, ঐভুখন্ডটি ধসে দিঘিতে রুপনিয়েছে। রাজার শেষ বংশধর ছিলেন রাণি বিরহীনি। দিঘিটি রাণি বিরহীনি নামেও পরিচিতি পায়। ১৯৪০ সালে সরকারী ভুমি জরিপে দিঘিটি বিরহীনি নামেই রেকর্ড হয়েছে। তবে দীঘিটি খননের সত্যিকার দিন,ক্ষন,ইতিহাস জানা যায়নি।

১৯৮৩ সালে এই দীঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ‘সুতানালি দীঘিরপাড় ভুমিহীন মজাপুকুর সমবায় সমিতি।’ বর্তমানে সমিতির সদস্য সংখ্যা ১১৮ জন। সব সদস্যই দীঘির পাড়ে বসবাস করেন। দীঘিটি ১৯৮৩ সাল থেকে ভুমিহীন সমিতি প্রতি বছর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতো। কিন্ত ২০০৪ সালে যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তগণ যুব সমিতি নামে নাম দিয়ে দীঘিটি দখলে নেওয়ার জন্য একটা মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি মহামান্য হাইকোর্টে চলমান রয়েছে। তাই দীঘিটি জেলা প্রশাসকের খাস কালেকশন হিসেবে ভুমিহীন সমিতির দখলে রয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নে মধ্যমকুড়া গ্রামে ৬০ একর জমির উপর দীঘিটি অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার দুরে দিঘিটির অবস্থান। দীঘিটি কেন্দ্র করে প্রতি বছর সৌখিন মৎস্য শিকারিদের মিলন মেলায় পরিনিত হয়,দুরদুরান্ত থেকে মৎস্য শিকারী ও উৎসুক মানুষের আনাগোনায় এলাকার পরিবেশ হয়ে ওঠে উৎসব মুখর। এ দিঘির মাছ খুব সুস্বাদু বলে প্রশংসা রয়েছে। তবে এলাকাবাসী দাবী ও সুধী মহলের অভিমত পর্যটক আকর্ষনে ঐতিহাসিক এ দীঘিকে ঘিরে সরকারী ভাবে আজো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পুকুরের পাড়ে চারদিকে পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য রাস্তা বা বসার ব্যবস্থা করা হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন দেখতে আসতো। সরকারী ভাবে সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে এই পুকুরকে কেন্দ্র করে দেশের জন্য একটা ঐতিহাসিক দর্শনীয় নিদর্শন হতে পাড়ে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. মাসুদ রানা বলেন, দীঘিটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য খুব শিঘ্রই সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।