০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপুর হানাদার মুক্ত দিবস আজ

একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর। এই দিনে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর।

 

মুক্তিযুদ্ধকালে দুর্গাপুরের বিরিশিরিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একটি শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। এখানে বসেই পাকিস্তানি সেনারা বাংলার দালাল, আলবদর,রাজাকারদের সহযোগিতায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত। সেই সঙ্গে রাতের আঁধারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হতো মুক্তিকামী মানুষকে।

 

১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা দুর্গাপুর উপজেলার চারদিক ঘিরে ফেলে। তারপর রাতভর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বিরিশিরি এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটির পতন ঘটায়। ভোর হওয়ার আগেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকাল থেকেই জয় বাংলা ধ্বনিতে দুর্গাপুরের আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে তোলে মুক্তিকামী জনতা। ঝাঁকে ঝাঁকে মুক্তিকামী মানুষ ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। হানাদারদের ঘাঁটি ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা।

 

এদিকে এ উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এ বছরও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে।

 

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর জানান, দুর্গাপুর মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

 

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

ভালুকায় শিশুর গলায় দা ঠেকিয়ে ডাকাতি

দুর্গাপুর হানাদার মুক্ত দিবস আজ

পোষ্টের সময় : ০৩:৫০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর। এই দিনে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর।

 

মুক্তিযুদ্ধকালে দুর্গাপুরের বিরিশিরিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একটি শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। এখানে বসেই পাকিস্তানি সেনারা বাংলার দালাল, আলবদর,রাজাকারদের সহযোগিতায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত। সেই সঙ্গে রাতের আঁধারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হতো মুক্তিকামী মানুষকে।

 

১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা দুর্গাপুর উপজেলার চারদিক ঘিরে ফেলে। তারপর রাতভর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বিরিশিরি এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটির পতন ঘটায়। ভোর হওয়ার আগেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকাল থেকেই জয় বাংলা ধ্বনিতে দুর্গাপুরের আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে তোলে মুক্তিকামী জনতা। ঝাঁকে ঝাঁকে মুক্তিকামী মানুষ ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। হানাদারদের ঘাঁটি ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা।

 

এদিকে এ উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এ বছরও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে।

 

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর জানান, দুর্গাপুর মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।