সিরিয়ার কৌশলগত অস্ত্রের গুদামের অধিকাংশ বিমান হামলায় ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর, গত ৪৮ ঘণ্টায় বিমান বিধ্বংসী ব্যাটারি, সামরিক বিমানঘাঁটি, অস্ত্র উৎপাদনের স্থান, যুদ্ধ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ৩৫০ বারের বেশি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
এছাড়া, ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী জাহাজগুলো আল-বায়দা বন্দর ও লাতাকিয়া বন্দরের সিরিয়ার নৌ সুবিধাগুলোতে আঘাত করেছে। সেখানে ১৫টি সিরীয় নৌ জাহাজ নোঙর ফেলেছিল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, সিরিয়াজুড়ে হামলার লক্ষ্য ছিল কৌশলগত অস্ত্র ও সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা, যাতে করে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সেগুলো ব্যবহার করতে না পারে। আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের মধ্যে কয়েকটি আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও অভিপ্রায় নেই। তবে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন আমরা তা করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিমান বাহিনীকে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর রেখে যাওয়া কৌশলগত সামরিক সক্ষমতায় বোমা ফেলার অনুমতি দিয়েছি যাতে সেগুলো জিহাদিদের হাতে না পড়ে।’
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেছেন, সেনারা বাফার জোনে ও আশেপাশে ‘কিছু অতিরিক্ত পয়েন্টে’ রয়ে গেছে।
তবে সিরিয়ার ভূখণ্ডের বাইরে উল্লেখযোগ্যভাবে তার বাহিনী প্রবেশ করেছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
সিরিয়ার একটি সূত্র বলেছে, তারা কাতানা শহরে পৌঁছেছে। এটি বাফার জোনের পূর্বে কয়েক কিলোমিটার (মাইল) ও দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে মাত্র কয়েক মিনিট দূরত্বে অবস্থিত।
সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে কর্নেল নাদাভ বলেছেন, ‘আইডিএফ বাহিনী দামেস্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছে না। এটি এমন কিছু নয় যা আমরা করছি বা কোনোভাবেই অনুসরণ করছি।’