০৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ( ফাইল ছবি )

অবশেষে অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার দায়ে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তাকে অভিশংসিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

এদিন দেশটির আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর ভোট শেষে বিরোধীরা ‘জনগণের বিজয়’ হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

৩০০ সাংসদের মধ্যে ২০৪ জনই প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পক্ষে এবং ৮৫ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। তিনজন অবশ্য ভোটদানে বিরত ছিলেন। আর বাতিল হয়েছে আটটি ভোট।

ভোট শুরুর আগে কয়েক হাজার মানুষ ইউনের পক্ষে ও বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী সমাবেশে রাজধানী সিউলের রাস্তায় নেমেছিল।

অভিশংসনের সঙ্গে সঙ্গে ইউনকে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন নেতা এখন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু।

ইউনের ভবিষ্যত নিয়ে রায় দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে এখন আরও ১৮০ দিন পর্যন্ত সময় রয়েছে।

অভিশংসন পাসের জন্য দুই শতাধিক ভোটের প্রয়োজন ছিল। আর জন্য বিরোধী আইনপ্রণেতাদের ইউনের রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) অন্তত আটজন সংসদ সদস্যকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিতে রাজি করানো দরকার ছিল।

এর আগে, সিউলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছিলে, প্রেসিডেন্টের অভিশংসন সমর্থন করে এমন অন্তত ২ লাখ মানুষ সংসদের বাইরে জমায়েত হয়েছিল।

সিউলের অন্য দিকে গওয়াংওয়ামুন স্কয়ারের কাছে পুলিশের অনুমান মতে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ ইউনের পক্ষে সমাবেশ করেছিল। এ সময় তারা দেশাত্মবোধক গান বাজায় এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকান পতাকা নেড়েছিল।

ভোটের আগে ৬২ বছর বয়সী সমর্থক চোই হি-সান এএফপিকে বলেন, ‘সামরিক আইন জারি করা ছাড়া ইউনের আর কোনও বিকল্প ছিল না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমি তার প্রতি সম্মতি জানাই।’

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল

পোষ্টের সময় : ০৪:১৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার দায়ে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তাকে অভিশংসিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

এদিন দেশটির আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর ভোট শেষে বিরোধীরা ‘জনগণের বিজয়’ হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

৩০০ সাংসদের মধ্যে ২০৪ জনই প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পক্ষে এবং ৮৫ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। তিনজন অবশ্য ভোটদানে বিরত ছিলেন। আর বাতিল হয়েছে আটটি ভোট।

ভোট শুরুর আগে কয়েক হাজার মানুষ ইউনের পক্ষে ও বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী সমাবেশে রাজধানী সিউলের রাস্তায় নেমেছিল।

অভিশংসনের সঙ্গে সঙ্গে ইউনকে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন নেতা এখন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু।

ইউনের ভবিষ্যত নিয়ে রায় দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে এখন আরও ১৮০ দিন পর্যন্ত সময় রয়েছে।

অভিশংসন পাসের জন্য দুই শতাধিক ভোটের প্রয়োজন ছিল। আর জন্য বিরোধী আইনপ্রণেতাদের ইউনের রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) অন্তত আটজন সংসদ সদস্যকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিতে রাজি করানো দরকার ছিল।

এর আগে, সিউলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছিলে, প্রেসিডেন্টের অভিশংসন সমর্থন করে এমন অন্তত ২ লাখ মানুষ সংসদের বাইরে জমায়েত হয়েছিল।

সিউলের অন্য দিকে গওয়াংওয়ামুন স্কয়ারের কাছে পুলিশের অনুমান মতে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ ইউনের পক্ষে সমাবেশ করেছিল। এ সময় তারা দেশাত্মবোধক গান বাজায় এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকান পতাকা নেড়েছিল।

ভোটের আগে ৬২ বছর বয়সী সমর্থক চোই হি-সান এএফপিকে বলেন, ‘সামরিক আইন জারি করা ছাড়া ইউনের আর কোনও বিকল্প ছিল না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমি তার প্রতি সম্মতি জানাই।’