০৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দক্ষিন কোরীয় প্রেসিডেন্ট ইউন

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ( ফাইল ছবি )

 

 

ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছেন।

‘বাড়াবাড়ি ও সংঘাতের রাজনীতি’ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ইউন বলেন, পার্লামেন্ট তাকে পদচ্যুত করার পরই দায়িত্ব থেকে তিনি সরে যাবেন।

টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘যদিও আমাকে এখন কিছু সময়ের জন্য সরে যেতে হবে, তবে আগামীর দিকে যাত্রা কখনই থামবে না।’

সিউলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের সমর্থনে অন্তত ২ লাখ মানুষ পার্লামেন্টের বাইরে ভিড় করেছিল।

ভোটের পর রাস্তায় নাচছিলেন ৫২ বছর বয়সী চোই জুং-হা। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘এটি কি আশ্চর্যজনক নয় যে, আমরা সবাই মিলে এটি বন্ধ করে দিয়েছি?’

তিনি বলছিলেন, ‘আমি শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম যে, সাংবিধানিক আদালত অভিশংসনের পক্ষেই থাকবে।’

সিউলের অন্য দিকে গওয়াংওয়ামুন স্কয়ারের কাছে পুলিশের অনুমান মতে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ ইউনের পক্ষে সমাবেশ করেছিল। এ সময় তারা দেশাত্মবোধক গান বাজিয়েছিল এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকান পতাকা নেড়েছিল।

ভোটের আগে ৬২ বছর বয়সী সমর্থক চোই হি-সান এএফপিকে বলেন, ‘সামরিক আইন জারি করা ছাড়া ইউনের আর কোনও বিকল্প ছিল না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমি তার প্রতি সম্মতি জানাই।’

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দক্ষিন কোরীয় প্রেসিডেন্ট ইউন

পোষ্টের সময় : ০৫:৪৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছেন।

‘বাড়াবাড়ি ও সংঘাতের রাজনীতি’ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ইউন বলেন, পার্লামেন্ট তাকে পদচ্যুত করার পরই দায়িত্ব থেকে তিনি সরে যাবেন।

টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘যদিও আমাকে এখন কিছু সময়ের জন্য সরে যেতে হবে, তবে আগামীর দিকে যাত্রা কখনই থামবে না।’

সিউলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের সমর্থনে অন্তত ২ লাখ মানুষ পার্লামেন্টের বাইরে ভিড় করেছিল।

ভোটের পর রাস্তায় নাচছিলেন ৫২ বছর বয়সী চোই জুং-হা। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘এটি কি আশ্চর্যজনক নয় যে, আমরা সবাই মিলে এটি বন্ধ করে দিয়েছি?’

তিনি বলছিলেন, ‘আমি শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম যে, সাংবিধানিক আদালত অভিশংসনের পক্ষেই থাকবে।’

সিউলের অন্য দিকে গওয়াংওয়ামুন স্কয়ারের কাছে পুলিশের অনুমান মতে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ ইউনের পক্ষে সমাবেশ করেছিল। এ সময় তারা দেশাত্মবোধক গান বাজিয়েছিল এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকান পতাকা নেড়েছিল।

ভোটের আগে ৬২ বছর বয়সী সমর্থক চোই হি-সান এএফপিকে বলেন, ‘সামরিক আইন জারি করা ছাড়া ইউনের আর কোনও বিকল্প ছিল না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমি তার প্রতি সম্মতি জানাই।’