০২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিয়া ও ইরাকে ২১ কুর্দি যোদ্ধাকে হত্যার করেছে তুরস্কের

ইরাক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ২১ জন কুর্দি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই দাবি করেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ও সিরিয়ান কুর্দিশ ওয়াইপিজে গোষ্ঠীর ২০ জন ও উত্তর ইরাকে একজনকে হত্যা করে হয়েছে। তারা একটি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।

প্রয়োজনে এসব অভিযান কার্যকরভাবে ও দৃঢ়তার সঙ্গে সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে সতর্ক করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

তুরস্কের বিরুদ্ধে ১৯৮৪ সাল থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে আসছে পিকেকে। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪০ সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত।

এদিকে, ওয়াইপিজে গোষ্ঠীকেও পিকেকের সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেছে আঙ্কারা। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরীয় ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস-এর (এসডিএফ) নেতৃত্বে রয়েছে ওয়াইপিজে গোষ্ঠী।

চলতি মাসে আসাদ সরকারের পতনের পর থেকেই সংগঠনটিকে ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে আঙ্কারা। ভবিষ্যৎ সিরিয়ায় ওয়াইপিজের কোনও স্থান নেই বলে দাবি করে আসছে তারা।
তুরস্ক সমর্থিত সিরীয় গোষ্ঠী ও ওয়াইপিজের চলমান সংঘর্ষের মধ্যেই বুধবার এই অভিযান পরিচালনা করা হলো।

ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকায় পিকেকের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। এই এলাকা লক্ষ্য করে নিয়মিতই সামরিক অভিযান ও বিমান হামলা পরিচালনা করে থাকে তুরস্ক।

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

ভালুকায় শিশুর গলায় দা ঠেকিয়ে ডাকাতি

সিরিয়া ও ইরাকে ২১ কুর্দি যোদ্ধাকে হত্যার করেছে তুরস্কের

পোষ্টের সময় : ০৫:৪১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ইরাক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ২১ জন কুর্দি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই দাবি করেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ও সিরিয়ান কুর্দিশ ওয়াইপিজে গোষ্ঠীর ২০ জন ও উত্তর ইরাকে একজনকে হত্যা করে হয়েছে। তারা একটি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।

প্রয়োজনে এসব অভিযান কার্যকরভাবে ও দৃঢ়তার সঙ্গে সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে সতর্ক করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

তুরস্কের বিরুদ্ধে ১৯৮৪ সাল থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে আসছে পিকেকে। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪০ সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত।

এদিকে, ওয়াইপিজে গোষ্ঠীকেও পিকেকের সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেছে আঙ্কারা। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরীয় ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস-এর (এসডিএফ) নেতৃত্বে রয়েছে ওয়াইপিজে গোষ্ঠী।

চলতি মাসে আসাদ সরকারের পতনের পর থেকেই সংগঠনটিকে ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে আঙ্কারা। ভবিষ্যৎ সিরিয়ায় ওয়াইপিজের কোনও স্থান নেই বলে দাবি করে আসছে তারা।
তুরস্ক সমর্থিত সিরীয় গোষ্ঠী ও ওয়াইপিজের চলমান সংঘর্ষের মধ্যেই বুধবার এই অভিযান পরিচালনা করা হলো।

ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকায় পিকেকের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। এই এলাকা লক্ষ্য করে নিয়মিতই সামরিক অভিযান ও বিমান হামলা পরিচালনা করে থাকে তুরস্ক।