০৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকুন্দিয়ায় দুই শতাধিক রোগিকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান

পাকুন্দিয়ায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। ছবি- ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস।

 

আশা’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দুই শতাধিক গরীব ও অসহায় রোগীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, ঔষধ বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপি উপজেলার আঙ্গিয়াদী লাউতলী বাজার এলাকায় আশা পাকুন্দিয়া সমন্বিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে এসব কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

আশা পাকুন্দিয়া সমন্বিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইনজামুল হাসান সাকিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যাম্প উদ্বোধন করেন আশা কিশোরগঞ্জ (কটিয়াদী) সিনিয়র ডিষ্ট্রিক ম্যানেজার মো. কবির হোসেন জমাদ্দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আশা পাকুন্দিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার অলক আচার্য্য।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট শাহনেওয়াজ হোসেন রনি, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রেজাউল করিম আকন্দ প্রমুখ। দিনব্যাপি এ সেবায় চিকিৎসকরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি সেবা, ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও ব্যবস্থাপত্রসহ রোগিদের বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করেন।

আশা পাকুন্দিয়া সমন্বিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইনজামুল হাসান সাকিব জানান, আশার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুই শতাধিক গরীব, অসহায় ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদেরকে স্বাস্থ্য সেবাসহ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাদের মাঝে ঔষধ বিতরণ করেছি।

তিনি আরও জানান, মো. সফিকুল হক চৌধুরী ১৯৪৯ সালের ১লা জানুয়ারি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার নরপতিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান আশা প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। মো. সফিকুল হক চৌধুরী ২০০৬ সালে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন খাতের উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন। ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাই দেশের বিভিন্ন জেলায় আশার উদ্যোগে নানা রকম সামাজিক কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দিনটিকে বিশেষ ভাবে স্মরণ করছে।

 

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

পাকুন্দিয়ায় দুই শতাধিক রোগিকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান

পোষ্টের সময় : ০৪:২৪:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

আশা’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দুই শতাধিক গরীব ও অসহায় রোগীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, ঔষধ বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপি উপজেলার আঙ্গিয়াদী লাউতলী বাজার এলাকায় আশা পাকুন্দিয়া সমন্বিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে এসব কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

আশা পাকুন্দিয়া সমন্বিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইনজামুল হাসান সাকিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যাম্প উদ্বোধন করেন আশা কিশোরগঞ্জ (কটিয়াদী) সিনিয়র ডিষ্ট্রিক ম্যানেজার মো. কবির হোসেন জমাদ্দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আশা পাকুন্দিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার অলক আচার্য্য।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট শাহনেওয়াজ হোসেন রনি, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রেজাউল করিম আকন্দ প্রমুখ। দিনব্যাপি এ সেবায় চিকিৎসকরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি সেবা, ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও ব্যবস্থাপত্রসহ রোগিদের বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করেন।

আশা পাকুন্দিয়া সমন্বিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইনজামুল হাসান সাকিব জানান, আশার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুই শতাধিক গরীব, অসহায় ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদেরকে স্বাস্থ্য সেবাসহ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাদের মাঝে ঔষধ বিতরণ করেছি।

তিনি আরও জানান, মো. সফিকুল হক চৌধুরী ১৯৪৯ সালের ১লা জানুয়ারি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার নরপতিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান আশা প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। মো. সফিকুল হক চৌধুরী ২০০৬ সালে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন খাতের উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন। ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাই দেশের বিভিন্ন জেলায় আশার উদ্যোগে নানা রকম সামাজিক কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দিনটিকে বিশেষ ভাবে স্মরণ করছে।