০৮:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনে বিয়ে কমায় নতুন রেকর্ড, বাড়ছে বিচ্ছেদ

 

চীনে বিয়ে কমায় নতুন রেকর্ড করেছে।অপরদিকে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। সরকারের নানা চেষ্টা ও বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবের পরও চীনে গত এক বছরে বিয়ের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমেছে। দেশটির সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গত বছর দেশটিতে মাত্র ৬১ লাখ বিয়ে হয়েছে। ২০২৩ সালেও এই সংখ্যাটি ৭৭ লাখ ছিল।

১৯৮৬ সাল থেকে বিয়ের সংখ্যার রেকর্ড রাখা শুরু করে বেইজিং। গত বছর যে ৬১ লাখ বিয়ে হয়েছে, এটি ১৯৮৬ সালের পর সর্বনিম্ন। যা নতুন রেকর্ড।

সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত বছর ২৬ লাখ দম্পতির ডিভোর্স হয়েছে। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, চীনে গত বছর একটি গুজব ছড়ায় যে, তাদের এবারের চন্দ্রবর্ষটি ‘বিধবা বছর’ হবে। যার অর্থ এ বছর যারা বিয়ে করবে তাদের স্বামী মারা যেতে পারেন। এ বিষয়টি বিয়ের সংখ্যা কমানোয় ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দেশটির তরুণদের মধ্যে বিয়ে করায় যে অনীহা আছে, সেটিও প্রভাব রেখেছে এতে।

চীনের জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম উইবোতে একজন লিখেছেন, “বিষয়টি এমন নয়, সাধারণ মানুষ বিয়ে করতে চান না। আসলে তাদের বিয়ে করার আর্থিক সামর্থ্য নেই।”

চীন বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ। তবে দেশটিতে এক দশক ধরে ‘এক সন্তান নীতি’ ছিল। এটির উদ্দেশ্য ছিল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা। তবে চীনের এই নীতি পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করায় একটি সময় গিয়ে দেশটিতে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়। যা তাদের অর্থনীতিকে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। এ কারণে দেশটির সরকার এখন চায় মানুষ যেন বিয়ে করে এবং বেশি বেশি সন্তান জন্ম দেয়।

তবে চীনা তরুণরা এখন বিয়েতে আগ্রহী না। তারা সারাজীবন সঙ্গীহীনই থাকতে চান। এছাড়া সন্তান লালন-পালনকেও ঝামেলা মনে করেন তরা। অপরদিকে যাদের বয়স হয়ে গেছে তাদের আর বিয়ে করার সেই সময় আর নেই।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

চীনে বিয়ে কমায় নতুন রেকর্ড, বাড়ছে বিচ্ছেদ

পোষ্টের সময় : ০৪:৪২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

চীনে বিয়ে কমায় নতুন রেকর্ড করেছে।অপরদিকে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। সরকারের নানা চেষ্টা ও বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবের পরও চীনে গত এক বছরে বিয়ের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমেছে। দেশটির সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গত বছর দেশটিতে মাত্র ৬১ লাখ বিয়ে হয়েছে। ২০২৩ সালেও এই সংখ্যাটি ৭৭ লাখ ছিল।

১৯৮৬ সাল থেকে বিয়ের সংখ্যার রেকর্ড রাখা শুরু করে বেইজিং। গত বছর যে ৬১ লাখ বিয়ে হয়েছে, এটি ১৯৮৬ সালের পর সর্বনিম্ন। যা নতুন রেকর্ড।

সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত বছর ২৬ লাখ দম্পতির ডিভোর্স হয়েছে। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, চীনে গত বছর একটি গুজব ছড়ায় যে, তাদের এবারের চন্দ্রবর্ষটি ‘বিধবা বছর’ হবে। যার অর্থ এ বছর যারা বিয়ে করবে তাদের স্বামী মারা যেতে পারেন। এ বিষয়টি বিয়ের সংখ্যা কমানোয় ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দেশটির তরুণদের মধ্যে বিয়ে করায় যে অনীহা আছে, সেটিও প্রভাব রেখেছে এতে।

চীনের জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম উইবোতে একজন লিখেছেন, “বিষয়টি এমন নয়, সাধারণ মানুষ বিয়ে করতে চান না। আসলে তাদের বিয়ে করার আর্থিক সামর্থ্য নেই।”

চীন বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ। তবে দেশটিতে এক দশক ধরে ‘এক সন্তান নীতি’ ছিল। এটির উদ্দেশ্য ছিল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা। তবে চীনের এই নীতি পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করায় একটি সময় গিয়ে দেশটিতে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়। যা তাদের অর্থনীতিকে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। এ কারণে দেশটির সরকার এখন চায় মানুষ যেন বিয়ে করে এবং বেশি বেশি সন্তান জন্ম দেয়।

তবে চীনা তরুণরা এখন বিয়েতে আগ্রহী না। তারা সারাজীবন সঙ্গীহীনই থাকতে চান। এছাড়া সন্তান লালন-পালনকেও ঝামেলা মনে করেন তরা। অপরদিকে যাদের বয়স হয়ে গেছে তাদের আর বিয়ে করার সেই সময় আর নেই।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান