নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার নেতাই নদীতে ডেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবরে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সময় বাঁধা ও হামলার চেষ্টা করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর এলাকায়। বাঁধার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ লাঠি-সোঁটা। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নেতাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছিল এমন খবরে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থালে গিয়ে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর। ভ্রাম্যমান আদালতের সদস্যরা যখন অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু পরিমাপ করছিলেন তখন উত্তেজিত জনতা দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠি সোটা নিয়ে হামলার চেষ্টা ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে।

এ ঘটনায় গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. শাহজাহান মিয়া সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে এ ঘটনার পরপরই উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. মাজহারুল হক রিপন ও সদস্য সচিব ইউসূফ খানের সিদ্ধান্তে সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এস এম কাইয়ূম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অপরাধে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মো. শাহজাহান মিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাজহারুল হক রিপন।

এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। ডেজারসহ সকল মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত লোকজনের উস্কানিতে কিছু উশৃখল জনতা সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান এবং আক্রমন করার চেষ্টা করে। তবে এ ঘটনায় আমাদের কেউ আহত হয়নি। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়েছে। সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে জড়িতদের সনাক্ত করে মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।