বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সুসজ্জিত তোরণ ও নান্দনিক আলোকসজ্জা আর ফুল-বেলুনে সাজানো হয় ক্লাব ভবনের ভেতর-বাহির। এতে মনোমুগ্ধকর অাবহের সৃষ্টি হয় ক্লাব এলাকায়।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর সি কে ঘোষ রোডস্থ সড়কে বর্নাঢ্য র্যালীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি।
এরপর ক্লাব ভবনের ৪র্থ ও ৩য় তলায় আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শেষ হয়। এ সময় বিএনপি, জামায়াত, বাম দলগুলোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, বিজিবি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানটি এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। এতে আনন্দঘন মূহর্তে মুখরিত হয়ে উঠে প্রেসক্লাব আঙিনা।
এ সময় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ও ক্লাবের সভাপতি মো: মুফিদুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি মো: শহীদুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম মহসিন, সাধারন সম্পাদক বাবুল তালুকদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ( বিএফইউজে) দপ্তর সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক প্রমূখ।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহবায়ক একেএম শফিকুল ইসলাম, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোহাতার হোসেন তালুকদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার, জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল করিম, নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন, মহানগর জামায়াতের আমীর কামরুল হাসান এমরুল, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. এমএ হান্নান খান, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শহীদুল আমিন খসরু, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহ (জেইউএম) সভাপতি এম. আইয়ুব আলীসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে সাংবাদিকতা সাংবাদিকদের হাতে ছিল না। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত মাত্র একজন ব্যক্তি। তিনি যেভাবে বলতেন সেভাবে নিউজ করতে হতো। এর বাইরে আর কিছু ছিল না।
সভায় জেলা প্রশাসক মো: মুফিদুল আলম বলেন, সংবাদপত্র রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তারা সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে। চোখে আঙ্গুল দিয়ে তারা আমাদের ভুলগুলোকে ধরিয়ে দেয়। সে লক্ষ্যে ময়মনসিংহের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শান্তি বজায়ে রাখার জন্য সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কোনভাবেই হলুদ সাংবাদিকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। কাউকে জিরো থেকে হিরো এবং হিরো থেকে জিরো করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ৯৩ জন। এটি ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্র গাঙ্গিনাপাড় ট্রাফিক মোড়ে নিজস্ব বহুতল ভবনে অবস্থিত এই প্রেসক্লাব।