টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এসব ইট ভাটার কিলন ও চিমনী ভেঙ্গে ভাটার কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার (১৭মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরেরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক, সহকারী পরিচালক সজীব কুমার ঘোষ প্রমূখ।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা অমান্য করে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া তিন ফসলি জমির ওপর ভাটা তৈরি করে ইট পোড়ানো হচ্ছিল। এর মধ্যে রয়েছে ধনবাড়ী উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের মের্সাস নবাব ব্রিকস, বানিয়াজানের মা ব্রিকস, হবিপুরের মের্সাস একতা ব্রিকস ও ইসলামপুরের মের্সাস বংশাই ব্রিকসসহ মোট চারটি ইটভাটা। বানিয়াজানের মা ব্রিকসসহ বেশ কয়েকটির বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ ও বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদে প্রকাশ হওয়ার পরে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অবৈধ ভাটাগুলোর কিলন ও চিমনী ভেকু দিয়ে ভেঙে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের মাধ্যমে পানি দিয়ে আগুন নেভানো হয়। পরে ওই ইটভাটাগুলোতে ইট তৈরি ও পোড়ানো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক জানান, ধনবাড়ীতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো আগেই পরিদর্শন করে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট শাখায় সুপারিশ পাঠানো হয়েছিল। সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চারটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ইট ভাটার কিলন ও চিমনী ভেঙ্গে দেন। এ ছাড়া ভাটাগুলোতে ইট তৈরি ও পোড়ানো বন্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি। পরিবেশ সুরক্ষায় টাঙ্গাইল জেলার অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে।
অভিযান চলাকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের এর সদস্যরা উপস্থিত থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সার্বিক সযোগীতা করেন।