১২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে ভারত ও কানাডা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ভারতের হাইকমিশনারসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা। এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার হত্যা ও কানাডায় ভারতীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর প্রচেষ্টার অভিযোগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারসহ দেশটির ছয় কূটনীতিককে দিল্লি ছাড়তে বলে ভারত সরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

সোমবার দুপুরে সরাসরি সম্প্রচারিত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, কানাডার মাটিতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে ভারত একটি ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ, কানাডার জাতীয় পুলিশ-আরসিএমপির প্রকাশিত প্রমাণগুলো উপেক্ষা করা যায় না। জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে থাকা এসব অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ করা প্রয়োজন। এ কারণেই আমরা এমন পদক্ষেপ নিয়েছি।

ভারতীয় এজেন্টরা সরাসরি গত বছর শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারের হত্যার সাথে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করেছে কানাডিয়ান পুলিশ। এছাড়া ভারতীয় এজেন্টদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি এবং সহিংস কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার এবং খালিস্তানপন্থি আন্দোলনের সমর্থকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর অভিযোগও করেছে পুলিশ।

এই অভিযোগগুলোকে হাস্যকর বলে প্রত্যাখ্যান করেছে দিল্লি। ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার বৃহৎ শিখ সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য তোষণ করার অভিযোগ এনেছে তারা। ভারতের দাবি, কানাডা তাদের দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ সরবরাহ করতে পারেনি।

ট্রুডো যখন বলেছিলেন যে কানাডার কাছে নিজ্জারের হত্যার সাথে ভারতীয় এজেন্টদের সম্পর্কযুক্ত বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে, তখন থেকে দিল্লি এবং অটোয়ার মধ্যে সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই উত্তেজনা দুদেশের সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যায়,যখন ভারত কানাডাকে তার কূটনীতিকদের একটি বড় অংশ প্রত্যাহার করার জন্য বলে এবং ভিসা সেবা স্থগিত করে।

সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, কানাডার অভিযোগগুলো শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচারকদের দ্বারা প্রভাবিত।

এছাড়া ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার স্টুয়ার্ট রস হুইলার ছয় কানাডিয়ান কূটনীতিককে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ভারত ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দিল্লি।

২০২৩ সালে কানাডায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জার। তিনি ভারতের পাঞ্জাবে শিখ সম্প্রদায়ের জন্য ‘খালিস্তান’ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ছিলেন।

ট্যাগ :
অধিক পঠিত

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈঠক

শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে ভারত ও কানাডা

পোষ্টের সময় : ০২:০৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ভারতের হাইকমিশনারসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা। এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার হত্যা ও কানাডায় ভারতীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর প্রচেষ্টার অভিযোগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারসহ দেশটির ছয় কূটনীতিককে দিল্লি ছাড়তে বলে ভারত সরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

সোমবার দুপুরে সরাসরি সম্প্রচারিত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, কানাডার মাটিতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে ভারত একটি ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ, কানাডার জাতীয় পুলিশ-আরসিএমপির প্রকাশিত প্রমাণগুলো উপেক্ষা করা যায় না। জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে থাকা এসব অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ করা প্রয়োজন। এ কারণেই আমরা এমন পদক্ষেপ নিয়েছি।

ভারতীয় এজেন্টরা সরাসরি গত বছর শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারের হত্যার সাথে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করেছে কানাডিয়ান পুলিশ। এছাড়া ভারতীয় এজেন্টদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি এবং সহিংস কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার এবং খালিস্তানপন্থি আন্দোলনের সমর্থকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর অভিযোগও করেছে পুলিশ।

এই অভিযোগগুলোকে হাস্যকর বলে প্রত্যাখ্যান করেছে দিল্লি। ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার বৃহৎ শিখ সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য তোষণ করার অভিযোগ এনেছে তারা। ভারতের দাবি, কানাডা তাদের দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ সরবরাহ করতে পারেনি।

ট্রুডো যখন বলেছিলেন যে কানাডার কাছে নিজ্জারের হত্যার সাথে ভারতীয় এজেন্টদের সম্পর্কযুক্ত বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে, তখন থেকে দিল্লি এবং অটোয়ার মধ্যে সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই উত্তেজনা দুদেশের সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যায়,যখন ভারত কানাডাকে তার কূটনীতিকদের একটি বড় অংশ প্রত্যাহার করার জন্য বলে এবং ভিসা সেবা স্থগিত করে।

সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, কানাডার অভিযোগগুলো শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচারকদের দ্বারা প্রভাবিত।

এছাড়া ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার স্টুয়ার্ট রস হুইলার ছয় কানাডিয়ান কূটনীতিককে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ভারত ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দিল্লি।

২০২৩ সালে কানাডায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জার। তিনি ভারতের পাঞ্জাবে শিখ সম্প্রদায়ের জন্য ‘খালিস্তান’ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ছিলেন।