আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে মাউন্ট লেওটোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ফ্লোরেসের দূরবর্তী দ্বীপে একাধিক অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। রবিবার মধ্যরাতের কাছাকাছি কিছু পরে মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি পর্বতের অগ্ন্যুৎপাত ২ হাজার মিটার উচ্চতায় ঘন বাদামি ছাই উদগীরণ করে এবং গরম ছাই নিকটবর্তী একটি গ্রামে আঘাত হানে। এতে বেশ কয়েকটি ঘর ও ক্যাথলিক নানদের একটি মঠ বা আশ্রম পুড়ে যায়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এরই মধ্যে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আগ্নেয়গিরি থেকে আগুনের মতো লাল লাভা, আগ্নেয়গিরির ছাই এবং জ্বলন্ত শিলা নির্গত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভলকানোলজি এবং ভূতাত্ত্বিক বিপদ মোকাবেলা কেন্দ্রের মুখপাত্র হাদি উইজায়া।
অগ্ন্যুৎপাতের পর বিদ্যুৎ চলে যায় এবং তারপর বৃষ্টি ও বড় বড় বজ্রপাত শুরু হয়, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বলেও জানান তিনি।
দেশটির আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ সংস্থা আগ্নেয়গিরির সতর্কতার স্তর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে এবং অগ্ন্যুৎপাত আরও ঘন হওয়ায় সোমবার মধ্যরাতের পর নিরাপত্তা অঞ্চলের ব্যাসার্ধ ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তা জানান, অগ্ন্যুৎপাত সাতটি গ্রামে প্রভাব ফেলেছে এবং সোমবার বিকাল নাগাদ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।
মাউমেরে শহরে অবস্থিত বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আগ্নেয়গিরির ওপরের আকাশ লাল হয়ে গেছে, এবং কিছু কাঠের ঘর পুড়ে যাচ্ছে। মাস্ক পরিহিত বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার দৃশ্যও ছবিতে দেখা গেছে।
স্থানীয় সরকার আগামী ৫৮ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। আগামী কয়েকদিনে আকস্মিক বন্যা এবং ঠান্ডা লাভার প্রবাহের বিষয়েও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।