ময়মনসিংহ ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসিনা নিত্য নতুন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাচ্ছে: সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স

ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্ণচূড়া চত্বরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এবং মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বর্নাঢ্য মিছিল।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ এমরান সলেহ  প্রিন্স বলেছেন, জনগণ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে। এখন সব কুল হারিয়ে একবার মোদী একবার ট্রাম্পকে ব্যবহার করে হাসিনা নিত্য নতুন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাচ্ছেন যেটা কখনোই সম্ভব নয়।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্ণচূড়া চত্বরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এবং মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বর্নাঢ্য মিছিল পূর্ব-গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা করে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছেন, যে কারণে নিজের ছবি দিয়ে মিছিল করাতে ভয় পাচ্ছেন। নিজের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য নিজের ছবির পরিবর্তে আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি দিয়ে মিছিল করে নিজেদের কর্মী দিয়ে সেই মিছিলে হামলা চালিয়ে নিজেদের লোক দিয়ে হামলার ছবি তুলে তা ট্রাম্পের কাছে পাঠানোর কথা বলে শেখ হাসিনা নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ৭ই নভেম্বর জাতীয় ইতিহাসে ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। দেশের জাতীয় ইতিহাসে, যেমন ২৬ শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক, ঠিক তেমনি ৭ই নভেম্বর এবং সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বিপ্লব পাঁচই আগস্টও গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক। মহান মুক্তিযুদ্ধে, সিপাহী জনতার বিপ্লব ও সম্প্রতি ছাত্র জনতার বিপ্লবের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা এক ও অভিন্ন।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় এই দিবসগুলো সব সময় দিকনির্দেশনা প্রদান করবে। তিনি সকলকে আওয়ামী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থেকে ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ৭ নভেম্বরে সিপাহী জনতার বিপ্লব সাধিত হয়েছিল স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও তাবেদার মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। এই দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি আর কোন তাঁবেদারের স্থান  বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে সাতই নভেম্বরকে কেউ মুছে দিতে পারবে। আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রভু আধিপত্যবাদী শক্তি নানান রকম চেষ্টা করেছে। ৭ নভেম্বরের চেতনা নস্যাত করতে, কিন্তু পারে নাই। ফ্যাসিবাদের পতনের পর মুক্ত পরিবেশে এবার সাত নভেম্বরে বিএনপির কর্মসূচিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে করে, ফ্যসিবাদ ও আধিপত্যবাদী শক্তি জনগণের হৃদয় সাত নভেম্বর থেকে মুছে দিতে পারে নাই।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, উত্তর, দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা রংবেরঙের পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, ঢাক ঢোল নিয়ে গণমিছিলে যোগ দিয়ে স্মরণকালের বৃহৎ গণ মিছিলের পরিণত করেন। নগরীর কৃষ্ণচূড়া চত্বর থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল মাঠে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
ট্যাগ :

দৈনিক ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের এক দশকে পদার্পণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার

হাসিনা নিত্য নতুন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাচ্ছে: সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স

পোষ্টের সময় : ১০:০৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ এমরান সলেহ  প্রিন্স বলেছেন, জনগণ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে। এখন সব কুল হারিয়ে একবার মোদী একবার ট্রাম্পকে ব্যবহার করে হাসিনা নিত্য নতুন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাচ্ছেন যেটা কখনোই সম্ভব নয়।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্ণচূড়া চত্বরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এবং মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বর্নাঢ্য মিছিল পূর্ব-গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা করে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছেন, যে কারণে নিজের ছবি দিয়ে মিছিল করাতে ভয় পাচ্ছেন। নিজের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য নিজের ছবির পরিবর্তে আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি দিয়ে মিছিল করে নিজেদের কর্মী দিয়ে সেই মিছিলে হামলা চালিয়ে নিজেদের লোক দিয়ে হামলার ছবি তুলে তা ট্রাম্পের কাছে পাঠানোর কথা বলে শেখ হাসিনা নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ৭ই নভেম্বর জাতীয় ইতিহাসে ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। দেশের জাতীয় ইতিহাসে, যেমন ২৬ শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক, ঠিক তেমনি ৭ই নভেম্বর এবং সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বিপ্লব পাঁচই আগস্টও গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক। মহান মুক্তিযুদ্ধে, সিপাহী জনতার বিপ্লব ও সম্প্রতি ছাত্র জনতার বিপ্লবের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা এক ও অভিন্ন।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় এই দিবসগুলো সব সময় দিকনির্দেশনা প্রদান করবে। তিনি সকলকে আওয়ামী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থেকে ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ৭ নভেম্বরে সিপাহী জনতার বিপ্লব সাধিত হয়েছিল স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও তাবেদার মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। এই দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি আর কোন তাঁবেদারের স্থান  বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে সাতই নভেম্বরকে কেউ মুছে দিতে পারবে। আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রভু আধিপত্যবাদী শক্তি নানান রকম চেষ্টা করেছে। ৭ নভেম্বরের চেতনা নস্যাত করতে, কিন্তু পারে নাই। ফ্যাসিবাদের পতনের পর মুক্ত পরিবেশে এবার সাত নভেম্বরে বিএনপির কর্মসূচিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে করে, ফ্যসিবাদ ও আধিপত্যবাদী শক্তি জনগণের হৃদয় সাত নভেম্বর থেকে মুছে দিতে পারে নাই।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, উত্তর, দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা রংবেরঙের পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, ঢাক ঢোল নিয়ে গণমিছিলে যোগ দিয়ে স্মরণকালের বৃহৎ গণ মিছিলের পরিণত করেন। নগরীর কৃষ্ণচূড়া চত্বর থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল মাঠে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।