বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিগত সাড়ে পনেরো বছরে ঘটে যাওয়া নির্যাতন, যৌন হয়রানি, র্যাগিং, ইভটিজিং, গেষ্ট রুমে নির্যাতন, সিট বাণিজ্য এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দাখিলের সময়সীমা ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাকৃবির তদন্ত কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার।
এর আগে, বিগত ৯ অক্টোবর থেকে সরেজমিনে এবং ১০ অক্টোবর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বাকৃবির নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ শুরু করে তদন্ত কমিশন। অভিযোগ দাখিলের শেষদিন নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১০ নভেম্বর, যা বর্তমানে বর্ধিত করে ১৬ নভেম্বর করা হয়েছে।
অভিযোগ দাখিলের সময়সীমা বর্ধনের বিষয়ে বাকৃবির তদন্ত কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অনুরোধের ভিত্তিতে আমরা অভিযোগ দাখিলের সময়সীমা ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছি। অনেক শিক্ষার্থী যারা ক্যাম্পাসের বাহিরে ছিলো বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা পূর্বে নির্ধারিত সময়ে অভিযোগ দাখিল করতে পারেনি, আবার বিদেশে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরাও অনলাইনে কিছু কারিগরি ত্রুটি থাকার কারণে অভিযোগ জমা দিতে পারেননি, অনেক শিক্ষার্থী আবার ওই সময়ের মধ্যে সকল তথ্য প্রমাণাদি গুছিয়ে তুলতে পারেনি, এ সমস্ত বিষয় বিবেচনা করেই অভিযোগ দাখিলের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে দ্রুততর সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্নের কাজ শুরু করা হবে।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমানকে সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারকে সদস্য সচিব করে গত ২২ সেপ্টেম্বর মোট ২৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।