ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। স্থানীয় প্রশাসন ও হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণাঞ্চলের বাত ইয়াম শহরে ছয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এ ছাড়া সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
উত্তরাঞ্চলীয় আরব শহর তামরাতেও হামলার শিকার হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসাসেবা ও সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইরান হাইফা, তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। একযোগে চালানো এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ইসরায়েল গত কয়েক দিনে ইরানের বিভিন্ন বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে বিমান হামলা চালানোর পরই পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করেছিল।
শনিবার রাতের হামলার সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে সাইরেন বেজে ওঠে। ইরানি টেলিভিশনের তথ্য অনুযায়ী, ‘ট্রু প্রমিজ ৩’ নামের অভিযানের দ্বিতীয় ধাপে ইরান প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হাইফা ও কিরিয়াত অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এদিকে, ইরানের সরকারি সূত্র জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গত দুই দিনে দেশটিতে ৮০ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ২০টি শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০০ জন।