ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বাড়তে শুরু করেছে শীত। তবে দিনের বেলায় শীতের বালাই নেই। সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি। একইসঙ্গে থাকে ঘন কুয়াশা।
গত কয়েকদিন ধরেই শীত তার প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে। দিনে গরম থাকলেও বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা। মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে যান চলাচল কিছুটা বিঘিœত হচ্ছে। সাধারণত এই সময় থেকেই শীতের প্রকোপ শুরু হয় ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চলে। যদিও এলাকার অনেকেই বলছেন, এবারে শীত একটু দেরি করেই এসেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঠান্ডা অনুভূতি। সন্ধ্যার পর গরম কাপড় পরিধান করে চলাফেরা করছেন মানুষজন। রাতে গায়ে কাঁথা ও কম্বল নিয়ে হালকা শীত নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমছে মানুষের চলাফেরা।
গত মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বুুধবার সকাল পর্যন্ত শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশা পরিলক্ষিত হয়েছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দূর্ভোগ বাড়ছে। উপজেলার মাইজবাগ এলাকার সিএনজি চালক রুবেল মিয়া বলেন,’আমি ভোরে ও রাতেই সিএনজি নিয়ে বেশি বের হই। কারণ ভোর বেলায় ভালো উপার্জন করা যায়। পরে সকাল ১০ টার দিকে বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে সারাদিন কৃষি কাজ করে সন্ধ্যায় আবার বের হতাম। কিন্তু শীত বাড়ছে, এখন তো আর সকালে ও রাতে বেশি বের হতে পারবো না। তারপরও পেটের তাগিদে মাঝেমধ্যে বের হতে হবেই।’
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার ইজিবাইক চালক মন্নাছ মিয়া বলেন, আমি তো শীতেই বেশি ভয় পাই। কারণ, শীত আমাদের জন্য উপার্জন কমে যাওয়ার একটি মৌসুম। চালকদের জন্য শীত উপার্জন কমে যাওয়ার মৌসুম হলেও কৃষকদের জন্য লাভের মৌসুম। লাভের আশায় শীতে নতুন করে শাক-সবজির চাষাবাদ শুরু করছেন কৃষকরা।
উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের সবজি চাষি জুয়েল মিয়া ও রফিকুল ইসলাম বলেন, মাসখানেক আগে টানা বৃষ্টিতে অনেক সবজির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেয়েছিল। সেই জমিগুলোতে নতুন করে শাক-সবজির চাষ শুরু করেছি। সবজির চারা বড় হয়ে উঠেছে, মনে হচ্ছে ফলন ভালো হবে। এবার লাভের মুখ দেখতে পাব।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিপা রাণী চৌহান বলেন,’বৃষ্টিতে কিছুকিছু এলাকা ছাড়া সবজির তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তাই আগাম ও শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা লাভবান হবে বলে আমরা আশা করছি। এছাড়া কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।