মঙ্গলবারের (২৬ নভেম্বর) ইসরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন। একদিকে যখন নেতানিয়াহুর সরকার ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হচ্ছিল, সে সময় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এই হামলা চালায়। তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৈরুত, বালবেক, বেন্ত জেবেইল, চাকরা, আল বাস্তা, বারবোরসহ আরও বেশ কিছু স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ওই হামলা চলাকালীনই মন্ত্রীসভার বিশেষ সেশনে যুদ্ধবিরতির অনুমোদন দেন নেতানিয়াহু। তবে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানিয়েছেন, চুক্তি কার্যকর হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অভিযান চলবে। চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল ধাপে ধাপে তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে আর হিজবুল্লাহ সরে যাবে লিটানি নদীর পাড়ে।
ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসরায়েলকে ধ্বংসে অঙ্গীকারবদ্ধ এই গোষ্ঠী হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রায় এক বছর ধরে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়ে আসছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও আক্রমণ করেছে।
গত এক বছরের সংঘর্ষে লেবাননে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, নিহতদের মধ্যে প্রায় ৯৪০ জন হিজবুল্লাহ সদস্য।
ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে জোরালো অভিযান শুরু করে। এতে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ শীর্ষ নেতারা নিহত হন। শীর্ষ নেতৃত্ব প্রায় পঙ্গু হওয়ায় গোষ্ঠীটির কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে।
এরপর, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েলি স্থল বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করে। তাদের অভিযানে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।