১০:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদ উল ফিতরের নামাজ পড়বেন যেভাবে

  • RA
  • পোষ্টের সময় : ০৩:২২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
  • ১২১ ভিউ :

আগামীকাল সোমবার (৩১ মার্চ) সোমবার উদ্‌যাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব।

ঈদের নামাজের নিয়ত:

نَوَيْتُ أنْ أصَلِّي للهِ تَعَالىَ رَكْعَتَيْنِ صَلَاةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتِّ التَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالَى اِقْتَضَيْتُ بِهَذَا الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ

অর্থ: আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সঙ্গে এ ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে মহান আল্লাহর জন্য আদায় করছি- ‘আল্লাহু আকবার’।

 

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম:

 

প্রথম রাকাত

১. ইমামের সঙ্গে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে উভয় হাত বাঁধা। ২. তাকবিরে তাহরিমার পর ছানা পড়া। ৩. এরপর অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেয়া। ৪. এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা। ৫. প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেয়া। ৬. তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত তাকবিরে তাহরিমার মতো বেঁধে নিতে হয়। ৭. আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পড়া ৮. সুরা ফাতেহা পড়া। ৯. সুরা মিলানো। এরপর নিয়মিত নামাজের মতো রুকু ও সেজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।

 

দ্বিতীয় রাকাত

১. বিসমিল্লাহ পড়া। ২. সুরা ফাতেহা পড়া। ৩. সুরা মিলানো। ৪. সুরা মিলানোর পর অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেয়া। ৫. প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেয়া। ৬. তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত তাকবিরে তাহরিমার মতো বেঁধে নিতে হয়। ৭. এরপর রুকুর তাকবির দিয়ে রুকুতে যাওয়া। ৮. সেজদা আদায় করা। ৯. বৈঠকে বসা; তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা। ১০. নামাজের সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া-

اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد

উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’

১১. নামাজের পর ইমাম সাহেবের দুটি খুতবা দেয়া।

 

দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজে ছয়টি অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরসহ আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজের অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরে ভুল হলে অর্থাৎ তাকবির কম বা বেশি হলে অথবা বাদ পড়লে সাহু সিজদার প্রয়োজন নেই।

 

 

ট্যাগ :

ঈদ উল ফিতরের নামাজ পড়বেন যেভাবে

পোষ্টের সময় : ০৩:২২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫

আগামীকাল সোমবার (৩১ মার্চ) সোমবার উদ্‌যাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব।

ঈদের নামাজের নিয়ত:

نَوَيْتُ أنْ أصَلِّي للهِ تَعَالىَ رَكْعَتَيْنِ صَلَاةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتِّ التَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالَى اِقْتَضَيْتُ بِهَذَا الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ

অর্থ: আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সঙ্গে এ ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে মহান আল্লাহর জন্য আদায় করছি- ‘আল্লাহু আকবার’।

 

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম:

 

প্রথম রাকাত

১. ইমামের সঙ্গে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে উভয় হাত বাঁধা। ২. তাকবিরে তাহরিমার পর ছানা পড়া। ৩. এরপর অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেয়া। ৪. এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা। ৫. প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেয়া। ৬. তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত তাকবিরে তাহরিমার মতো বেঁধে নিতে হয়। ৭. আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পড়া ৮. সুরা ফাতেহা পড়া। ৯. সুরা মিলানো। এরপর নিয়মিত নামাজের মতো রুকু ও সেজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।

 

দ্বিতীয় রাকাত

১. বিসমিল্লাহ পড়া। ২. সুরা ফাতেহা পড়া। ৩. সুরা মিলানো। ৪. সুরা মিলানোর পর অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেয়া। ৫. প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেয়া। ৬. তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত তাকবিরে তাহরিমার মতো বেঁধে নিতে হয়। ৭. এরপর রুকুর তাকবির দিয়ে রুকুতে যাওয়া। ৮. সেজদা আদায় করা। ৯. বৈঠকে বসা; তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা। ১০. নামাজের সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া-

اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد

উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’

১১. নামাজের পর ইমাম সাহেবের দুটি খুতবা দেয়া।

 

দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজে ছয়টি অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরসহ আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজের অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরে ভুল হলে অর্থাৎ তাকবির কম বা বেশি হলে অথবা বাদ পড়লে সাহু সিজদার প্রয়োজন নেই।